মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

হাসিনার বক্তব্যে নিষেধাজ্ঞা

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:১২ এএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার


 
 
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা আগে যত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন সেগুলো সামাজিক মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। পরে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই-অগাস্টে গণহত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলোর আসামিদের ব্যাপারে আমরা ট্রাইব্যুনালে বলেছি, একজন আসামি শেখ হাসিনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এ কারণে এসব মামলার সাক্ষীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন। পরবর্তীতে মামলা চলাকালে আমরা তাদের সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে হাজির করাতে পারবো না। তাই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ভীতিমূলক ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করি। ট্রাইব্যুনালে আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন এবং শেখ হাসিনার আগে দেয়া সব বক্তব্য সরিয়ে ফেলতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছাড়া অন্য বক্তব্য প্রচারের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা শুধু বিদ্বেষমূলক ও ভীতিমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছি। রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচারে কোনো বাধা নেই। কোন ধরনের বক্তব্য বিদ্বেষমূলক তা আমরা রাবাত কনভেনশনের উল্লেখ করে দেখিয়েছি। সেখানে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সংজ্ঞায়িত করা আছে। প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমরা আদেশের বিষয়টা বিটিআরসি, ফেইসবুক, এক্স, ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমের কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেবো। এ ট্রাইব্যুনালের এক্সট্রা টেরিটোরিয়াল এখতিয়ার আছে। এখন থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে।
বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয়ার বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ উল্লেখ করে এই প্রসিকিউটর বলেন, ‘হেট স্পিচ (বিদ্বেষমূলক বক্তব্য) এমন একটি অপরাধ, যা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতে সব আইনে, সব জায়গায় একটি ক্রিমিনাল অফেনস। এ কারণে যেটি করা হচ্ছে (বিদ্বেষমূলক বক্তব্য) এবং সেটি ভবিষ্যতে পাবলিশ (প্রকাশ) বন্ধের জন্য এবং ইতিপূর্বে যেসব হেট স্পিচগুলো সোশ্যাল মিডিয়া (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় (সমপ্রচার মাধ্যম) আসছে, সেগুলো রিমুভের (সরানো) জন্য আবেদন করেছিলাম। এসব হেট স্পিচ এখনো বিদ্যমান এবং সেগুলো রিমুভ করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের হেট স্পিচ পাবলিশ না হয়, সে জন্য ট্রাইব্যুনাল আদেশ দিয়েছেন।