নিউইয়র্কের কর্মিসভায় হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণ
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৬:৩১ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার

ছাত্র-জনতার গণ্যঅভ্যুত্থানের চারমাস পর এই প্রথম জনসভায় বক্তব্য দিলেন বিতাড়িত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ১ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন। ওজনপার্কের লাবান্য রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুর রহমান রফিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সহ-সভাপতি ডাক্তার মাসুদুল হাছান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
এর আগে বিভিন্ন সময় দেশবিদেশে দলের নেতাকর্মীদের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন এই প্রথম আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিলেন হাসিনা। বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ আগসট আমাকে এবং আমার বোন শেখ রেহানাকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিলো। ঐ সময় বাংলাদেশে গণ হত্যা হয়েছিলো। সেই গণহত্যার জন্য আমাকে দায়ী করা হচ্ছে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- এই গণহত্যা চালিয়েছে ড. ইউনূস, তার মাস্টার মাইন্ড এবং সমন্বয়করা। দেশে আরাজকতা ও নৈরাজ্যে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ। জিনিস পত্রের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। দেশে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট হচ্ছে। দুর্বাত্তায়ণ হচ্ছে। ইউনুস সরকার ক্ষমতা দখল করে দেশকে ধ্বংস করেছে। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে ইনশাল্লাহ দেশের মাটিতে একদিন তাদের বিচার হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা আবু সাঈদ ও মুগ্ধকে হত্যা করেছে। আবু সাঈদের হত্যাকান্ডের ভিডিও দেখলেই তা প্রমাণ হবে। ঐ পরিস্থিতিতে আমি চাইনি দেশে লাশের পর লাশ পড়–ক। তাই চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। গুলিবিদ্ধ আবু সাঈদকে কেন হাসপাতালে নেয়া হয়নি? যে বন্দুক দিয়ে আবু সাঈদকে হত্যা করা হয় সে বন্দুকের গুলি ছিল বিশেষ ধরনের। এ বুলেট কোথা থেকে এলো। আমরা কোটা প্রথা বাতিল করেছিলাম। সে কোটার পক্ষে কোর্ট রায় দিল। আমরা আপিল করলাম। রায় স্থগিত হলো। সে কোটা ২০১১ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের সব দাবি মেনে নিলাম। তাপরপরেও এক দফা দাবি। আমাকে পদত্যাগ করতে হবে। তারা পুলিশকে হত্যা করলো।
আয়না ঘর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কোন আয়না ঘর ছিল না। এখন সারা বাংলাদেশ আয়না ঘর। দেশে ২ মাসে ২ হাজার নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, ৩০ হাজারের মত মামলা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে নাকি ২৬ লক্ষ ভারতীয়কে চাকরি দেয়া হয়েছিল। তা হলে ২৬ লক্ষকে বের করে বেকার যুবকদের কেন চাকরি দেয়া হচ্ছে না। মানুষকে কেন বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় এখন সবাই খালাস। অথচ এটা ছিলো পরিকল্পিত হত্যাকা-।
এদিকে ২১শে অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় হাইকোর্টের প্রদত্ত রায়ের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ করেছে। ৩ ডিসেম্বর জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজার সামনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিছি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় বক্তারা দেশের অরাজক পরিস্থিতির জন্য বর্তমান সরকারকে দায়ী করে অনতিবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানায়।