সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৮ ১৪৩১   ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আবারও নিউইয়র্কে হাসিনার ভার্চ্যুয়াল বক্তব্য

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:০৪ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার


 
 
বাংলাদেশ বা ভারত সরকার পছন্দ না করলেও আবারও জনসভায় ভার্চ্যুয়াল বক্তব্য দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন। এক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্কের ওজোন পার্কে বক্তব্য দেয়ার পর এবার বিজয়দিবসের সভায় প্রায় ঘণ্টাব্যপী বক্তব্যদেন চারমাস আগে দেশ থেকে বিড়াড়িত এ সাবকে সরকার প্রধান।
গত ৯ ডিসেম্বর কুইন্স প্যালেসে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপনউপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নানা বিষয় তুলে ধরেন হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ, বিভিন্ন স্টেট আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।
সরকারের এজেন্টরা সব জায়গাতে কী কী করছে তার তথ্য রাখতে হবে, প্রয়োজনে রুখে দাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে টেলিফোনে দেয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদশকে গড়ে তোলার জন্য জাতির জনক মাত্র ৩ বছর ৭ মাস সময় পান। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক ও তার পরিবারের সকল সদস্যকে সেদিন হত্যা করার মাধ্যমে এই স্বাধীনতাকে কলংকিত করে এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। ৫ আগস্টও একইভাবে স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতা দখল করে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা সেটা পারেনি। নানা ঘাত প্রতিঘাতের মাধ্যমে যে উন্নয়নশীল দেশ গড়েছিলাম আজ তা ধ্বংস প্রায়। গভীর চক্রান্তের মাধ্যমে জঙ্গি, সন্ত্রাসীরা পুলিশ, ছাত্র, আওয়ামী লীগ, সাধারণ মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। যে কোটা ২০১৮ সালে বাতিল করেছিলাম, আদালত যে রায় দেয় তাও আমরা স্থগিত করি। জুলাই আন্দোলনে বাধা দেয়া হয়নি, পুলিশকে নিষেধ করেছিলাম বাধা দিতে, আন্দোলন কারীদের গণভবনে ডাকাও হয়েছিলো। কিন্তু তারা আসেনি ১ দফা ঘোষণা করেছে। আমি রক্তপাত চাইনি, তাই ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছি। তারা এখনো দেশে সন্ত্রাসী কাজ চালাচ্ছে।  এজন্য পাকিস্তানী বাহিনীর মত জনগণের কাছে আত্মসমর্পণ করবে।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়া কথা উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দেয়া, শেষ করা বা নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব নয়। আইয়ুব খান পারেনি, এরা কীভাবে পারবে। ইউনুস বাহিনীর এজেন্টরা সব জায়গাতে কী কী করছে তার তথ্য রাখতে হবে, প্রয়োজনে রুখে দাঁড়াতে হবে। । আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের চাকরি ফেরত দেয়া হবে।