মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

নেচারের সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:০৫ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার

 


বাংলারেদশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ২০২৪ সালের বিশ্ব সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান দিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’। সাময়িকীটি তাকে ‘নেশন বিল্ডার’(জাতীর নির্মাতা) আখ্যাও দিয়েছে।
গত সোমবার নেচারের ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, গত বছর বিজ্ঞানে যেসব গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে, এই তালিকার মাধ্যমে সেগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এগুলোর পেছনের কিছু ব্যক্তির গল্প উঠে এসেছে।
ড. ইউনূসের বিষয়ে নেচার বলছে, বাংলাদেশের স্বৈরাচারী সরকারের পতনে যারা বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তারা নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেশের নেতৃত্বে আমন্ত্রণ জানান। যারা তাকে চেনেন তারা বলছেন, এটি ছিল ইউনূসের জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিন একজন অর্থনীতিবিদ ও নোবেল বিজয়ী, এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর কাঁধে দেশের শিক্ষার্থীদের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের ভার। ছয় দশকের কর্মজীবনে তিনি দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য নতুন ধারণা পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গবেষণার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সিস্টেম বুঝে সমস্যার সমাধান করা ইউনূসের কাজের মূল ভিত্তি। এতে ড. ইউনূস কে ‘নেশন বিল্ডার বা ‘জাতির নির্মাতা’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
নেচারের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেচারের শীর্ষ ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় গত এক বছরে বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা লোকদের বাছাই করেছে। এই তালিকা করেছেন নেচারের সম্পাদকরা।
ছয় দশকের পেশাগত জীবনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য নতুন ধারণা পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গবেষণার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সিস্টেম বুঝে সমস্যার সমাধান করা ইউনূসের কাজের মূল ভিত্তি। ড. ইউনূসের সঙ্গে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন অ্যালেক্স কাউন্টস। তিনি ড. ইউনূস সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি আশির কোঠায়, কিন্তু তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উজ্জ্বল। তার সহানুভূতি রয়েছে এবং তিনি একজন চমৎকার যোগাযোগকারী।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া ড. ইউনূস ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পরিবেশগত অর্থনীতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস জর্জেসকু-রোগেনের অধীনে পড়াশোনা করেন। সে সময়ই তার মধ্যে অর্থনীতি ও প্রকৃতির মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক বিষয়ে স্পষ্ট বোঝাপড়ার সৃষ্টি হয়। পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর তিনি দ্রুত দেশে ফিরে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পর নতুন দেশ গঠনে অংশীদার হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন। ড. ইউনূসের সবচেয়ে আলোচিত উদ্ভাবন হলো ‘মাইক্রোক্রেডিট বা ক্ষুদ্র ঋণ’, যার পরিমাণ প্রায়শই ১০০ ডলার বা তার চেয়ে কম হয়ে থাকে। ড. ইউনূস দেখিয়েছেন যে সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকলে, ক্ষুদ্রঋণ সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র অংশের জীবন বদলে দিতে পারে।