সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৮ ১৪৩১   ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিলেন ট্রাম্প

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৯:৩১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ রোববার

প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী পানামা খাল দিয়ে পারাপারের সময় যুক্তরাষ্ট্রর জাহাজগুলো থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনিকি তিনি এই খালকে আবারও ওয়াশিংটনের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার হুমকি দিয়েছেন। খবর- ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি

পানামা খাল দিয়ে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরে মালামাল পরিবহণের ক্ষেত্রে চীনের প্রভাব বেড়ে চলেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী হিসেবে দেখেন ট্রাম্প। তার ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টের তিনি বলেন, 'আমাদের নৌবাহিনী ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। পানাম কর্তৃপক্ষের চার্জ করা ফি খুবই হাস্যকর। আমাদের দেশের সঙ্গে এমন অবিচার খুব দ্রুত বন্ধ হবে।'

১৯১৪ সালে পানাম খালের কাজ শেষ করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭৭ সালে পানামার কাছে এটি ফিরিয়ে দেওয়া হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সময়ে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির মাধ্যমে। ১৯৯৯ সালে এই খালের পুরো নিয়ন্ত্রণ পায় পানামা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘পানামাকে নিজেদের মতো করে এটিকে পরিচালনা করতে হবে, চীন নয়, বা অন্য কেউ তা করবে না। আমরা কখনোই এটিকে ভুল হাতে পড়তে দিতে পারি না, এবং তা দেবোও না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি পানামা নিরাপদ, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য পরিচালনা নিশ্চিত করতে না পারে, তবে আমরা দাবি করবো পানামা খাল আমাদের কাছে সম্পূর্ণরূপে এবং প্রশ্ন ছাড়াই ফিরিয়ে দেওয়া হোক’।  

তবে পানামা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাম্পের পোস্টের বিপরীতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

পানামা খাল দিয়ে বিশ্বের মোট নৌ-বাণিজ্যের পাঁচ শতাংশের মতো নৌযান চলাচল করে। এই নৌ প্রণালীটি বেশি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। পানামা খাল কর্তৃপক্ষ এ বছরের অক্টোবর মাসে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত করে। সেখানে দেখা যায়, গত অর্থবছরে এখান থেকে ৫০০ কোটি ডলারেরও বেশি আয় করেছে তারা।   

পানামা খালের অবস্থান মধ্য আমেরিকার দেশ পানামাতে।এর পূর্বে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর। আর উত্তরে রয়েছে উত্তর আমেরিকা মহাদেশ এবং দক্ষিণে দক্ষিণ আমেরিকা। দুই সাগর থেকে খালটি ৮০ ফিটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত। বিশ্বের সবথেকে বড় দুই মহাসাগরকে যুক্ত করেছে খালটি। সেই সাথে আলাদা করে দিয়েছে দুই মহাদেশকে। যাতায়াতের সময় কমিয়ে দিয়েছে ছয় মাস।