রোববার   ০৫ জানুয়ারি ২০২৫   পৌষ ২১ ১৪৩১   ০৫ রজব ১৪৪৬

যুুক্তরাষ্ট্রের কাছে ড. ইউনূসের অঙ্গিকার

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৩৯ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার


 
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন। এ সময় ড. ইউনূস সকলের মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলিও ব্যাপকভাবে উঠে এসেছে। ফোনালাপের পর হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলেছে যে, উভয় নেতা ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। এদিকে  বাংলাদেশের জারি করা চিঠিতে মানবাধিকার ইস্যুতে আলোচনার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ঢাকার বক্তব্য হচ্ছে- উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। গত সোমবার দু’দেশের শীর্ষ পর্যায়ে এই আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়।
সুলিভান একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় অব্যাহত সমর্থন দেওয়ার প্রস্তাব দেন।  মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মুহম্মদ ইউনূসের সাথে কথা বলেছেন এমন সময় যখন উভয় নেতা সংখ্যালঘু মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
হোয়াইট হাউস দুই নেতার মধ্যে কথোপকথনের বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে- জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনুসের সাথে কথা বলেছেন। সুলিভান প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসকে একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশের নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় নেতা ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র কয়েকদিন আগে দুই নেতার মধ্যে এই মতবিনিময় হয়।
৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভের মধ্যে ভারতে পালিয়ে যান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ঢাকা চায় শেখ হাসিনা আবার বিচারের মুখোমুখি হন। তিনি ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ভারত সরকারের কাছে একটি নোট ভারবাল পাঠিয়েছি যে বাংলাদেশ বিচার প্রক্রিয়ার জন্য তাকে এখানে ফেরত চায়। তবে এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমইএ) কোনো মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম জানান, তাঁর কার্যালয় ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুমতি চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের দীর্ঘতম দায়িত্ব পালনকারী প্রধানমন্ত্রী হাসিনা একটি বিতর্কিত চাকরির কোটা নিয়ে বিক্ষোভের মুখোমুখি হন এবং শীঘ্রই এটি তাঁর শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলনে পরিণত হয়।
 শেখ হাসিনা এক ভিডিওতে বলেন, ‘আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হচ্ছে। বাস্তবে, ইউনূস নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত পদ্ধতিতে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। মাস্টারমাইন্ডরা-ছাত্র সমন্বয়কারী এবং ইউনুস-এই গণহত্যার পিছনে রয়েছে।