বৃহস্পতিবার   ০৯ জানুয়ারি ২০২৫   পৌষ ২৫ ১৪৩১   ০৯ রজব ১৪৪৬

যুক্তরাষ্ট্রে শক্তিশালী শীতকালীন ঝড়, তুষারপাত ও কনকনে শীত

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ১২:৩১ এএম, ৬ জানুয়ারি ২০২৫ সোমবার

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে শনিবার এক শক্তিশালী শীতকালীন ঝড় আঘাত হেনেছে। এতে দেশের পূর্বাঞ্চলে লাখো মানুষ তুষার ঝড় পরিস্থিতি, হিমশীতল তাপমাত্রা ও ভ্রমণে মারাত্মক ব্যাঘাতের সম্মুখীন হবে বলে দেশটির আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন। সুমেরু অঞ্চলের প্রবল বাতাসসহ এই ঝড় সোমবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলের অর্ধেক এলাকা গভীর বরফে চাপা পড়বে। ছয় কোটিরও বেশি মানুষ বিপজ্জনক ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।

কেন্দ্রীয় সমভূমি থেকে মধ্য আটলান্টিক পর্যন্ত রাজ্যগুলোকে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভয়ংকর আবহাওয়া সম্পর্কে সতর্ক করেছে ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস)। পশ্চিম কানসাস থেকে মেরিল্যান্ড, ডেলাওয়্যার ও ভার্জিনিয়া উপকূলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোর বিস্তৃত দুই হাজার ৪০০ কিলোমিটার এলাকায় শীতকালীন ঝড় ছড়িয়ে পড়ার তাৎক্ষণিক সতর্কতা জারি করেছে তারা।

এনডব্লিউএস তার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, সোমবার পর্যন্ত বিপর্যয়কর শীতের ঝড়, বিপুল পরিমাণ ভারী তুষারপাত ও জমে থাকা বরফ কেন্দ্রীয় সমভূমি অঞ্চল থেকে মধ্য আটলান্টিক পর্যন্ত এলাকায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।

কানসাস সিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শনিবার বরফ জমার কারণে তার ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল।

এনডব্লিউএস জানায়, নিউ ইয়র্ক ও পেনসিলভানিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোর কিছু অংশ গ্রেট লেক থেকে আসা ‘ভারি লেক-ইফেক্ট স্নো’-এর সম্মুখীন হচ্ছে। পূর্বাভাস সংস্থা অ্যাকুওয়েদার শনিবার বলেছে, এই সপ্তাহে ইতিমধ্যে তুষারে আবৃত এই অঞ্চলে হ্রদের প্রভাবের মোট তুষার চার ফুট ওপরে উঠতে পারে।

এনডব্লিউএস আরো জানায়, স্থানীয় সময় রবিবার ভোরে কেন্দ্রীয় সমভূমি এলাকাজুড়ে একটি তুষারঝড় ছড়িয়ে পড়বে।
তুষারের কারণে দৃশ্যমানতা হ্রাস পেলে ভ্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তুলবে। দুর্গম রাস্তা ও গাড়িচালকদের আটকে পড়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। উত্তর-পূর্ব কানসাস থেকে উত্তর-মধ্য মিসৌরি পর্যন্ত এলাকায় ১৫ ইঞ্চি তুষারপাত হবে। যা এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভারী তুষারপাত। রাজধানী ওয়াশিংটন পাঁচ ইঞ্চি বা তারও বেশি তুষারে ঢেকে যেতে পারে।
আশপাশের এলাকায় ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে।

মিসৌরি ও ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা তাদের রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং তারা এই সপ্তাহের শেস দিকে বিপজ্জনক আবহাওয়ার আশঙ্কা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছেন।

এদিকে অ্যাপালাচিয়ান পর্বতমালায় পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সেখানে একটি মারাত্মক হারিকেন জনগোষ্ঠীকে বিধ্বস্ত করে ও কেনটাকিসহ একাধিক দক্ষিণ-পূর্ব রাজ্যকে ধ্বংস করে। গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার একটি জরুরি বৈঠকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আমাদের রাস্তায় উল্লেখযোগ্য ভাঙন ও বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

সূত্র : এএফপি