এ বছরই ঢাকা-নিউইয়র্ক বিমান চালু
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৪১ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার
দীর্ঘ দেড় যুগের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এ বছরই শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট। বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথরিটির (এফএএ) শর্ত পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানুয়ারি মাসেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা। ফ্লাইটটি চালু হলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের আকাক্সক্ষা পূরণ হবে।
তবে একইসঙ্গে বিমানের ঢাকা-ম্যানচেস্টার রুট বন্ধের ঘোষণা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসীরা। এ রুটটি অলাভজনক বলে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লক্ষ্য নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি (জেএফকে) বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা। সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ক্যাটাগরি-১ অনুমোদন পেতে এফএএর শর্ত পূরণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া জানিয়েছেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি অনলাইন বৈঠক হবে। শর্ত পূরণে সফল হলে এ বছরই নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালু হবে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাফিকুর রহমান জানান, আধুনিক বোয়িং উড়োজাহাজ এবং অন্যান্য প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। যদি সিভিল অ্যাভিয়েশন ক্যাটাগরি-১ অর্জন করতে না পারে, তবে বিকল্প উপায়ে অন্য দেশে ইমিগ্রেশন করিয়ে নিউইয়র্ক ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনাও রয়েছে।
অন্যদিকে, ঢাকা-সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটটি বন্ধ করার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেট অঞ্চলের প্রবাসীরা। এই রুটটি ২০২০ সালে চালু হওয়ার পর থেকে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যদিও এটি অলাভজনক বলে দাবি করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এ রুটে প্রতি সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে, যা প্রবাসীদের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত নয়। প্রবাসীরা দাবি করছেন, সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ হলে তাদের জন্য ভ্রমণ আরও জটিল হয়ে পড়বে। ফ্লাইট চালু রাখতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তারা।
বর্তমানে বিমানের বহরে রয়েছে ২১টি উড়োজাহাজ। তবে নতুন রুট চালু এবং বিদ্যমান রুটের শিডিউল ঠিক রাখতে আরও চারটি সুপরিসর উড়োজাহাজের প্রয়োজন। সম্প্রতি চালু হওয়া ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইটের মতো চীনের কুনমিং এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক রুটেও কাজ চলছে। নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশনের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রতিফলন হলেও বন্ধ হওয়া রুটগুলো পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। ব্যবসায়িক সম্ভাবনা ও যাত্রীদের সুবিধার মধ্যে সমন্বয় করাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ।