বুধবার   ১৫ জানুয়ারি ২০২৫   মাঘ ২ ১৪৩১   ১৫ রজব ১৪৪৬

কক্সবাজারের তরুণীকে মুক্ত করতে হাইকোর্টে মার্কিন যুবক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৫৪ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ বুধবার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের পর মার্কিন যুবক হারুন আসাদ মির্জার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় কক্সবাজারের পাহাড়তলীর এক তরুণীর (১৮)। পরিচয়ের পর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দুজনের। তবে তরুণীর পরিবার সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যাওয়ায় বেঁকে বসেছে। দুজনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। মেয়েটিকে বাড়ির বাইরেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন ওই মার্কিন যুবক। তরুণীকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে দায়ের করেছেন রিট আবেদন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ওই রিটের ওপর হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই তরুণীল বক্তব্য শুনতে চান। সেজন্য বাবা-মাসহ ওই তরুণীকে আগামী ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে হাজির করতে কক্সবাজার সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে বাংলাদেশি ওই তরুণীকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা কেন আইনবহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে মার্কিন যুবকের পক্ষে শুনানিতে করেছেন আইনজীবী তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ।

জানতে চাওয়া হলে এ আইনজীবী কালবেলাকে বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে কক্সবাজার সদর উপজেলার পাহাড়তলীর ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মার্কিন নাগরিক হারুন আসাদ মির্জার। এরপর দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তবে সম্পর্কের বিষয়টি তরুণীর পরিবার জেনে যাওয়ায় বাধে বিপত্তি। পরিবারের চাপে একপর্যায়ে আসাদ মির্জার সঙ্গে ওই তরুণীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তরুণীর সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণ বাংলাদেশে ছুটে আসেন। ওই তরুণী ঢাকায় আসতে চায় এবং লেখাপড়া করতে চায়। কিন্তু বাবা-মা বাধা দেওয়ায় সেটা হচ্ছে না। এ কারণে ওই যুবক হাইকোর্টে রিট করেন। গত সোমবার আদালত ওই তরুণীর বক্তব্য শোনার জন্য তাকে ২৬ জানুয়ারি হাজির করতে তার বাবা-মাকে বলেছেন। এ ছাড়া কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদালতে হাজির করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।