হাসিনার ভার্চুয়াল হরতালে সাড়া নাই
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:৫৭ এএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার
# নিউইয়র্কে হরতালের সর্মথনে সমাবেশ
শেখ হাসিনার ডাকা হরতাল এবং ভার্চুয়াল বক্তৃতা বাংলাদেশে সাড়া মিলছে না। দলীয়ভাবেও এ হরতাল সফল করার জন্য কোন তৎপরতা নেই। শুধুমাত্র সোশাল মিডিয়া কিংবা ফেসবুকে নিউইয়র্ক ভিত্তিক কিছু আওয়ামী একটিভিস্ট হরতাল সফর করার জন্য আহবান জানাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের আহবানে দেশে হরতাল সফল করার জন্য জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের প্রধান কোনও মিডিয়াই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রচার করছে না। সম্প্রতি শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড থেকে জানা যায় যে, আগামী ১৮ জানুয়ারি হরতাল ডেকেছেন। ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি বলে দিচ্ছি। এর কাছে ওর কাছ থেকে শুনতে হবে না।প্রত্যেক এলাকা ভিত্তিক মানব বন্ধন, মিছিল মিটিং করতে হবে। আর যদিরাস্তায় নামতে না দেয় তবে হরতাল ডাকবা। যারযার এলাকায় সুবিধা হবে হরতাল ডিক্লারেশন দিয়ে দিবা। ১৮ তারিখে হরতাল দিবা। তবে বাংলাদেশের সাধারন মানুষ এই হরতাল সম্পর্কে জানে না। শেখ হাসিনা যদিও পালিয়ে থাকা নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে যোগ দেবার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু নেতা-কর্মীরা মামলার কারণে এসব কর্মসূচিতে অংশ নিলে গ্রেফতার ও হয়রানির মধ্যে পড়তে পারেন।
আওয়ামী লীগ বিভিন্ন বিবৃতিতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের সমালোচনা করছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের গণমানুষের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আওয়ামী লীগ কাছে ক্ষমতা নয়, জনগণই মুখ্য। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক আর ক্ষমতার বাইরে থাকুক, সর্বদা জনকল্যাণের নীতি মেনে ও জনস্বার্থে রাজনীতি করে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি চক্রান্তকারী গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচিত একটি সরকারকে হটিয়ে অবৈধ ও অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। এই অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের কোনো গণতান্ত্রিক বৈধতা নেই। তাই নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে তারা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। নিজেরদের দক্ষতা ও কর্মপন্থা দিয়ে নয় বরং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে, বিরোধী মত দমন করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষের আবেগকে পুঁজি করে শেখ হাসিনার সরকার হটানোর গেইমে তারা সফল হলেও দেশের জনগণকে স্বস্তি দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। বরং জনগণের জীবনকে নরকময় করে তুলেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সময়ে দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ছিল, মানুষ স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারত। অথচ আজ বাংলাদেশের মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশের সর্বত্র চুরি,ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও লুটপাট চলছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছে। অন্যান্য অধিকার তো দূরের কথা সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারটাও নিশ্চিত করতে অপারগ জনগণের প্রতি দায়বদ্ধহীন এই অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। মানুষের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও বিরোধী মত সংগঠনের জায়গাগুলোকে খর্ব করা হয়েছে। সন্ত্রাস আতঙ্কের বিস্তার ঘটিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। চিন্তাশীল মানুষের মস্তিষ্কের সম্প্রসারণশীলতাকে আটকে দিতে লেখকের কলম ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিচ্ছে সরকারের মদদপুষ্ট পান্ডারা।
আমরা দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে আছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিয়মিত বিরতিতে দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৯ জানুয়ারি দুপুর ১২:৩০মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগ, সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাত ৯:৩০ মিনিটে ফ্রাঙ্কফুর্ট (জার্মানি) আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখবেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।