সিডিপ্যাপ জটিলতা কাটছে না
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:০৪ এএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার
- আইনগতভাবে এখনো সিডিপ্যাপ পিপিএলের কাছেই যাচ্ছে
সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও সেবার ধরন পরিবর্তনসহ নিউইয়র্ক সিটির নতুন সিদ্ধান্তের কারণে কনজ্যুমার ডাইরেক্টেড পারসোনাল অ্যাসিসটেন্ট প্রোগ্রামের (সিডিপ্যাপ) সৃষ্ট জটিলতা কাটছে না। এর ফলে সিডিপ্যাপ সেবা গ্রহীতারা জটিলারও অবসান হচ্ছে না। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে। ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছে সেবা দাতা ও সেবা গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। শুধুমাত্র সিডিপ্যাপ সেবা দেয় এমন শত-শত প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি শত-শত সেবাদানকারীও চাকুরি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি আদালত এক রায়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের সেবাগ্রহীতার তত্য বা ডাটা শেয়ার করার বিষয়ে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এতে অনেক হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠান আশার আলো দেখছে। বিষয়টি না বুঝেই অনেক প্রতিষ্ঠান সিডিপ্যাপে কোন সমস্যা হবে না বলে প্রচার করছে। আগের মতোই হোম কেয়ারের সিডিপ্যাপ সেবা একক প্রতিষ্ঠানের আওতায় যাবে অথবা সেবার ধরণে পরিবর্তন করতে হবে। এক্ষেত্রে আগের মতোই সমস্যা রয়ে গেছে। এপ্রিলের ১ তারিখ থেকেই সিডিপ্যাপ চলে যাবে পিপিএল নামক একক প্রতিষ্ঠানের আওতায়।
এর আগে নিউইয়র্ক স্টেট হেলথ ডিপার্টমেন্ট থেকে সাত শতাধিক সিডিপ্যাপ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে তাদের গ্রাহক সংক্রান্ত ডাটা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রদানের বিষয়ে আদেশ দেয়। তার পরিপ্রক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি আদালতে গেলে এ নিষেধাজ্ঞা আসে।
এদিকে নতুন আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের অফিস নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনিতে অফিস স্থাপন করেছে। শতাধিক কর্মীও নিয়োগ করছে। আরও সাতটি আঞ্চলিক অফিস নেয়ার পথে আছে। তবে তাদের কোন অর্থিক বিষয় প্রকাশ করেনি। এমনকি তাদের আওতায় ২৪ টি সাব কন্ট্রাক্ট প্রতিষ্ঠান বা কেয়ারগিভাররা কি ধরনের আয় করবে সে বিষয়েও কিছু বলছে না। তাছাড়া ২৪টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান থাকলেও সব ধরনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে শুধু মাত্রা মূল প্রতিষ্ঠান বা একটি প্রতিষ্ঠানের কাছেই। এ অবস্থায় বিপাকে পড়বেন কেয়ার গিভার ও সেবাগ্রহীতারা।
হোম কেয়ার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিডিপ্যাপের এখন বিশাল সংখ্যক সেবাগ্রহীতারা তাদের বর্তমান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন সিডিপ্যাপ সেবা নিতে হলে তাদের একক প্রতিষ্ঠানের আওতায় যেতে হবে। না হলে আগের প্রতিষ্ঠান বা যে ধরনের প্রতিষ্ঠান পিসিএ সার্ভিস দেয় সেসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবার ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে। একই সঙ্গে সেবাদাতাদেরও নিতে হবে বিষেশ প্রশিক্ষণ ও সনদ। এখন থেকে আর নিকট আত্মীয় বা বাবা-মাকে সেবা দিতে পারবেন না সেবাদাতারা। পরিবারের বাইরে কাউকেই সেবা দিতে হবে।
সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, সিডিপ্যাপ সার্ভিস রক্ষার্থে সেবাগ্রহীতার সার্ভিসকে পিসিএ সার্ভিসে রূপান্তর করা উচিত। পিসিএ সার্ভিস নেওয়ার জন্য সেবা প্রদানকারীকে বিশেষায়িত স্কুলে নিয়মিত ৮৩ ঘন্টা বা ৪০ ঘন্টা ক্লাস করে এইচএইচএ অথবা পিসিএ যেকোনো একটি সার্টিফিকেট নিতে হবে। এজন্য যে সমস্ত হোমকেয়ার এজেন্সিতে লেকসা (এইচএইচএ/পিসিএ) লাইসেন্স আছে, সে সব এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
এ বিষয়ে গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট ও সিইও শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘সিডিপ্যাপ সেবা গ্রহীতারা আসলেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। কারণ নতুন নিয়মে অনেক বিষয় তাদের বোঝার বাইরে থাকবে। তাই সময় নষ্ট না করে গ্রাহকদের লেকসা আছে এমন হোম কেয়ারের সঙ্গে যোগাগোগ করা উচিত। এক্ষেত্রে গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের গ্রাহকদের দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আমাদের নিজস্ব ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে, যেখান থেকে সেবাদানকারীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এইচএইচএ/পিসিএ সার্টিফিকেট নিতে পারবেন। পাশাপাশি গোল্ডেন এজের লেকসা, এনএইচটিডি এবং টিবিআই লাইসেন্সও রয়েছে। বিভিন্ন বরোতে বেশকয়েকটি অফিসও রয়েছে। সেগুলোর যে কোন একটিতে গিয়ে নতুন বা বিদ্যমান কোন গ্রাহক প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারবেন।’