যুক্তরাষ্ট্রে আটক অভিবাসীদের পাঠানো হবে গুয়ানতানামো বে কারাগারে
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৯:৫২ এএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার
গুয়ানতানামো বে কারাগারে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী আটক করার জন্য প্রস্তুত করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৫ বন্দি এখনো আটক রয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এ আদেশ জারি করেন তিনি।
এই আদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (ডিওডি) এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়কে (ডিএইচএস) নির্দেশ দেবে গুয়ানতানামো বে-তে ৩০ হাজার অভিবাসীর জন্য একটি কেন্দ্র প্রস্তুত করতে। গুয়ানতানামো বে একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি যা অতীতে ৯/১১ হামলার সঙ্গে জড়িত বন্দিদের রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, আমাদের গুয়ানতানামোতে ৩০ হাজার বেড রয়েছে, যেখানে মার্কিন জনগণের জন্য হুমকি স্বরূপ সবচেয়ে বিপজ্জনক অপরাধী অবৈধ অভিবাসীদের আটক রাখা হবে। তাদের মধ্যে কিছু এতটাই ভয়ঙ্কর যে আমরা তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি নিতে চাই না। তাই আমরা তাদের গুয়ানতানামোতে পাঠাব।
তিনি বলেন, এটি আমাদের আটক রাখার সক্ষমতা দ্বিগুণ করবে এবং এটি এমন একটি জায়গা যেখান থেকে বের হওয়া অত্যন্ত কঠিন। এই নির্বাহী আদেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্দিষ্ট অভিবাসীদের অপসারণের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বশেষ উদ্যোগ।
গুয়ানতানামো বে সন্ত্রাসবাদীদের আটক রাখার জন্য কুখ্যাত, যেখানে বন্দিদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। বাইডেন প্রশাসন এই কেন্দ্র বন্ধ করতে চেয়েছিল। বর্তমানে সেখানে ১৫ জন বন্দি এখনো রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করেছিল যে গুয়ানতানামো বে-তে একটি পৃথক অভিবাসী আটক কেন্দ্রও রয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প অভিবাসনের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আনতে একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।
তিনি দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন, সীমান্তে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছেন, আশ্রয়ের সুযোগ সীমিত করেছেন এবং শরণার্থী প্রোগ্রাম স্থগিত করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন দ্রুত অভিবাসন প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জোরদার করেছে প্রতিদিনের গ্রেফতারের সংখ্যা নিয়মিত প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে কিছু দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত অভিবাসীদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত রোববার কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিবাসীদের ফেরত নিতে অস্বীকার করলে ট্রাম্প প্রশাসন কলম্বিয়ার ওপর শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয়। পরে কলম্বিয়া বাধ্য হয়ে অভিবাসীদের ফেরত নিতে সম্মত হয়।