বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫   ফাল্গুন ২৮ ১৪৩১   ১২ রমজান ১৪৪৬

হাসিনার লাগাম ধরতে ভারতের না

আজকাল প্রতিবেদন

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:১৪ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার

 

  •    অস্থিরতায় ঢাকা ও সাভার


বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার নেপথ্যে কারা। একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর পর্যন্ত তাদের থামানো যাচ্ছে না। ভেতরে ২ ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ হাসিনার প্রতি এখনও দুর্বল। নানা কৌশলে হাসিনার দল ও আওয়ামী লীগকে ম্যাসাকার থেকে রক্ষার কাজটি করেছেন কৌশলে। ৫ আগষ্ট বাসা থেকে তুলে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের নিরাপদ স্থানে রেখেছেন। তারপর সেফ এক্সিটের ব্যবস্থা। কিন্তু আরেকটি অংশ প্রচন্ডভাবে হাসিনা বিরোধী। তারা বিএনপি জামায়াত ও ছাত্রদের পক্ষে। সরকার প্রশ্নে ঢাকা ও সাভার ২ ভাগে বিভক্ত। অস্থিরতার পেছনে এ দ্বন্দ্বই কি প্রধান কারন? নাকি ভারতের পরিকল্পনার ফসল।
ভারত কোন পথে হাঁটছে। কুটনীতি ও সমঝোতার পথে কেন না। ভারতের সর্মথন না থাকলে হাসিনা সে দেশের মাটিতে বসে এভাবে একের পর এক উস্কানীমূলক বক্তব্য দিতে পারতেন না তা নিশ্চিত। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানারে তার বক্তব্যও তাৎপর্যপূর্ন। এমকি প্রতিদিন লাইভে এসে বাংলাদেশের নেতাকর্র্মিদের  নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিদেশের মাটিতে বসে অন্য একটি দেশকে অস্থিতিশীল করা কুটনীতির জানালার ফাঁকে বিষবাস্প ছড়ায়। বাংলাদেশে বসে ভারতীয় কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী কিংবা বিরোধী নেতা এভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালােেল তারা কিভাবে নিতেন। ভারত কি হাসিনাকে নিয়েই বাংলাদেশের ফয়সালা চান? ৩২ নম্বরের বাড়ি নিয়ে তাদের বিবৃতি অযাচিত হস্তক্ষে নয়?
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে একের পর এক অঘটনের কারণে একটা অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সর্বশেষ অস্থিরতা কথিত ‘বুলডোজার কর্মসূচি’র নামে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলার ঘটনার মাধ্যমে। এই কর্মসূচি ক্রমশঃ ছড়িয়ে পড়ে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার আগে তিতুমির কলেজকে বিশ^বিদ্যালয় করার আন্দোলন। তারও আগে সাত কলেজের আন্দোলনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়।
শেখ হাসিনার পতনের ছয় মাস অতিবাহিত হবার পর তিনি সামাজিক মাধ্যমে ভাষণ দেবার ঘোষণা দেন। তারপর সামাজিক মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারকারী পিনাকি ভট্টাচার্য এক ঘোষণা দিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে হামলা চালানোর আহ্বান জানান। তারপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ধানমন্ডি অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিল’ করার আহ্বান জানান। আর এতেই হাজার হাজার ছাত্র-জনতা হাতুরি শাবল নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন। বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার কারণে বিদেশী বিনিয়োগ প্রায় স্থবির।
বাংলাদেশের এই বড় ক্ষতির কারণের জন্য নেপথ্য কারিগর কারা, কী তাদের উদ্দেশ্য এসব জানার জন্যে বাংলাদেশের গোয়েন্দার হণ্যে হয়ে ঘুরছে। সাধারনভাবে বোঝা যায়, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশী-বিদেশী চক্র বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অপতৎপরতায় লিপ্ত। এই বিষয়ে সবাই মোটামুটি আঁচ করতে পারলেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন অপারেটর কারা কী উদ্দেশ্যে এসব তৎপরতায় লিপ্ত। অনেকে মনে করেন, ভারতে আশ্রিত থাকা শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগ দলের নেতারা তাদের রাজনীতিকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে কারা জড়িত তা জানতে নানা তৎপরতা চলছে। অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিনেত্রী সোহানা সাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হজে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে শুরু করে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাসায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে বাইরের ইন্ধনে। এভাবে অস্থিরতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করছে। অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।