কমিউনিটির সমর্থন চাইলেন মূলধারার প্রার্থীরা
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৮:১৭ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার

রাইজ আপ নিউইয়র্কের সামিট
বাঙালি কমিউনিটিকে মুলধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত করতে অনুষ্ঠিত হয় লিডারশীপ সামিট। এতে আসন্ন সিটি নির্বাচনে নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন পদে মূল ধারার প্রাথীরা তাদের পরিকল্পনা নিউইয়র্কের বাংলাদেশি আমেরিকান সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেন। একই সঙ্গে নির্বাচনে জয়ী হতে বাংলাদেশি কমিউনিটির সমর্থন চাওয়ার পাশাপাশি জয়ী হলে কমিউনিটির পাশে থাকার অঙ্গিকার করেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারী উডসাইডের গুলশান ট্যারেসে দা রাইজ আপ নিউ ইয়র্ক সিটি আয়োজিত এ নির্বাচনী প্রার্থী ফোরামে বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠিত লীডার সামিটের মাধ্যমে বাংলাদেশি আমেরিকানরা নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র, কম্পট্রোলার, পাবলিক অ্যাডভোকেট এবং সিটি কাউন্সিল পদের একাধিক প্রার্থীদের সাথে একই অনুষ্ঠানে সরাসরি সংলাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। উপস্থিত দর্শক ও প্রার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তরের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কবাসীর চাওয়া প্রার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার ও মূল্যায়নের সুযোগ হয়।
রাইজ আপ নিউ ইয়র্ক সিটির প্রেসিডেন্ট শামসুল হক সূচনা বক্তব্যে বাংলাদেশি আমেরিকানদের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক প্রভাব এবং প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি সিইউএনওয়াই এবং নিউ ইয়র্ক সিটি রিডিস্ট্রিক্টিং কমিশনের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশিরা নিউ ইয়র্ক সিটির সর্ববৃহৎ মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম এশিয়ান গোষ্ঠী, তবুও তারা এখনও সরকার এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব পায়নি।
শামসুল হক বলেন, ‘অনেক বছর ধরে আমাদের সম্প্রদায়কে মূলধারার রাজনৈতিক আলোচনায় উপেক্ষা করা হয়েছে, আজকের এই ফোরামের মাধ্যমে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম। এটি একটি বার্তা যে আমরা সম্পৃক্ত, আমরা সক্রিয়, এবং আমরা নিউ ইয়র্ক সিটির ভবিষ্যত গঠনে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত। আমাদের সম্প্রদায়ের সবাইকে ভোটার নিবন্ধন করতে হবে, ভোট দিতে হবে, এবং রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে। আমাদের আর অদৃশ্য হয়ে থাকার সময় নেই’।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র প্রাথীদের মধ্যে ছিলেন জোহান মামদানি, ব্র্যাড ল্যান্ডার, এবং মাইকেল ব্লেক। নিউ ইয়র্ক সিটির কম্পট্রোলার প্রাথীদের মধ্যে ছিলেন ইসমাইল মালাভে, মার্ক লেভিন, এবং জাস্টিন ব্র্যানান। পাবলিক অ্যাডভোকেট প্রাথীদের মধ্যে ছিলেণ জুমানে উইলিয়ামস এবং জেনিফার রাজকুমার।
বিভিন্ন জেলার সিটি কাউন্সিল প্রার্থীরা: এডি মারেরো (ডিস্ট্রিক্ট ১৩ - ব্রঙ্কস), জানা হেনরিকেজ (ডিস্ট্রিক্ট ২১), হিরাম মনসেরাটে (ডিস্ট্রিক্ট ২১), শানেল থমাস-হেনরি (ডিস্ট্রিক্ট ২১), রিকার্ডো পাচেকো (ডিস্ট্রিক্ট ২৫), এবং শাহ হক (ডিস্ট্রিক্ট ২৫)।
প্রার্থীরা জননিরাপত্তা, শিক্ষা, অর্থনৈতিক সুযোগ এবং অভিবাসী অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন, যা বাংলাদেশি আমেরিকান সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রোতারা উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাদের বক্তব্যকে সমর্থন করেন।
এছাড়াও কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুলধারার রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, এটর্নি মইন চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহসেদ সহ অনেকে।
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট শামসুল হক ছাড়াও ভিপি অব ইভেন্টস ইশমাম চৌধুরী, ভিপি অব মিডিয়া অ্যাফেয়ার্স জামিল সারোয়ার, ভিপি অব কমিউনিকেশনস এম. লতিফ, ভিপি অব ফাইন্যান্স মোহাম্মদ আব্দুল জলিলসহ নির্বাহী সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সংগঠনের ট্রাস্টি বোর্ডেও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন একেএম আলম (প্রিন্স), শাইখ আহমেদ, মো. আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী প্রমুখ।