শুক্রবার   ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   ফাল্গুন ৯ ১৪৩১   ২২ শা'বান ১৪৪৬

ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাল যুক্তরাষ্ট্র

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৯:৩৯ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রোববার

ইউরোপকে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে বাদ রাখা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন বিষয়ক প্রধান দূত জেনারেল কিথ কেলগ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখে অনুষ্ঠিত এক নিরাপত্তা সম্মেলনে এ কথা বলেন।

জেনারেল কিথ জানান, ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তারা ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী সাহায্য করতে পারে।

তিনি জানান, ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া শান্তি আলোচনা পরিচালিত হবে। তবে ইউক্রেন অবশ্যই আলোচনা টেবিলে থাকবে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং কিয়েভে দ্রুত শান্তি আলোচনার ঘোষণা দেন। এতে ইউরোপীয় নেতারা বিস্মিত হন।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপীয় দেশগুলোকে জানিয়েছে, ইউরোপকে ইউক্রেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চীন ও সীমান্ত সুরক্ষা বিষয়ে অন্যান্য অগ্রাধিকার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ প্রক্রিয়ায় ইউরোপের সক্রিয় অংশগ্রহণ চাইছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলোর ভূমিকা ও কৌশল নিয়ে আরও আলোচনা করা প্রয়োজন।

কেইথ কেলগ বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে পূর্ববর্তী শান্তি আলোচনাগুলো ব্যর্থ হয়েছিল। কারণ, ওই আলোচনাগুলোর সঙ্গে অনেক দেশ যুক্ত ছিল। ওই দেশগুলোর এ ধরনের আলোচনা কার্যকর করার কোনো যোগ্যতা ছিল না। এবার আলোচনার ক্ষেত্রের আগের ওই পথ অনুসরণ করা হবে না।

কেলগের এই মন্তব্যের পর রোববার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এক আলোচনায় ইউরোপের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ।

ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব মিউনিখ সম্মেলনে বলেন, ইউরোপীয়রা ছাড়া ইউক্রেনের ভবিষ্যত বা ইউরোপীয় নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো আলোচনা সম্ভব নয়। ইউরোপীয় দেশগুলোকে নিজেদের একত্রিত হতে হবে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইউরোপীয় কূটনীতিকরা মনে করছেন, ইউরোপকে বাদ দিয়ে এই আলোচনা সম্ভব নয়। এটি ইউরোপীয় নেতৃত্বের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করতে পারে। ইউরোপের নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, তাদেরকে একটি বড় সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হচ্ছে, যা ইউক্রেনের ভবিষ্যত ও ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য: আল জাজিরা, গার্ডিয়ান