শনিবার   ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   ফাল্গুন ৯ ১৪৩১   ২৩ শা'বান ১৪৪৬

আড্ডার মাঝে হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শাহবাজ সানী, হাসপাতালে মৃত্যু

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার

ছোট পর্দার তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানীর অকাল মৃত্যুতে শোকাহত দেশের শোবিজ অঙ্গন। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে না ফেরার দেশে চলে যান সানী। সোমবার সকালে এই উঠতি তারকার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে গেলে যেন শোক নেমে আসে অভিনেতার ভক্তমহলে। তবে কী কারণে সানীর মৃত্যু হয়েছে, তা অস্পষ্ট ছিল।

জানা গেছে, রোববার দিনগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে প্রয়াণ ঘটে সানীর। কিন্তু এর আগেও শারীরিকভাবে বেশ সুস্থ ছিলেন তিনি- এমনই দাবি তার ঘনিষ্ঠদের।

তাদের একজন পরিচালক নাজমুল হুদা ইমন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘শাহবাজ সানী আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। কারণ ছিল হার্ট অ্যাটাক। আল্লাহ জান্নাত নসিব করুন, আমিন।’

এছাড়াও নির্মাতা হাসিব হোসাইন রাখি লিখেছেন, ‘আহারে জীবন। রাত ৩টা ৩০ মিনিটে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন সানী।’

এর আগে সোমবার সকালে মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে দেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। তিনি লেখেন, ‘অভিনেতা শাহবাজ সানী আর আমাদের মাঝে নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সবাই সানীর জন্য দোয়া করবেন।’

নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের ‘কাছে আসার পর’ নাটক দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন শাহবাজ সানী। অল্প সময়েই অভিনয় গুণে দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেছেন এবং সেইসাথে অর্জন করেছেন নির্মাতাদের আস্থাও। চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করলেও এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় চরিত্রেও অভিনয় করেছেন।

সানীর মৃত্যুর বিষয়ে নির্মাতা ইমরাউল রাফাত গণমাধ্যমকে জানান, ‌‘রোববার রাতে উত্তরায় আড্ডা দিচ্ছিলেন শাহবাজ সানী। হঠাৎ মাটিতে পড়ে যান। তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত ৩টার পর পর চিকিৎসকরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড বলেন। কী কারণে মারা গেছে জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন, ‘হার্ট অ্যাটাকের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।’

একই তথ্য দিয়েছেন নাট্যনির্মাতা তুহিন হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সানীর হাই প্রেসার ছিল। রোববার রাতে হুট করে সে অস্থিরতা প্রকাশ করে, বমি করে। হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। হাসপাতালের নেওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে সানি মারা যায়। কী কারণে মারা গিয়েছে জানতে চাইলে ডাক্তার বলেছেন, ‘হার্ট অ্যাটাকের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।’

শাহবাজ সানীর মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় নেওয়া হয়েছে। বাদ জোহর তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ‘আব্দুল্লাহ’ নাটকে তাকে প্রথমবার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। এটি পরিচালনা করেন গোলাম কিবরিয়া ফারকী। তার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে আরও রয়েছে ‘ম্যাচ মেকার’, ‘আহারে মন’, ‘তুমি আছো হৃদয়ে’, ‘আনারকলি’।