শনিবার   ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   ফাল্গুন ১০ ১৪৩১   ২৩ শা'বান ১৪৪৬

এস আলমের অ্যাকাউন্টে আড়াই লাখ কোটি টাকার লেনদেন

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৩১ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার


ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম (এস আলম) এবং তার পরিবারের কর ফাঁকির অনুসন্ধানে নেমে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
ব্যাংক খাতে এস আলমের ‘লুটপাটের’ তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরে সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব বলেছেন, এর মধ্যে ৩৬ হাজার কোটি টাকা ৩০ জুন পর্যন্ত পাঁচ বছর ব্যাংকে স্থিতি ছিল। ৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যাংক সুদ পেয়েছে। এর অধিকাংশই তারা শো করে নাই। আমরা কাজ করছি এখন। গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ও কর কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়কর গোয়েন্দার আয়োজিত ‘কর ফাঁকি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি’র কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরেন আহসান হাবিব। এস আলমের দুই ছেলের ‘কালোটাকা সাদা’ করার সময় ব্যাংকের সহায়তায় জালিয়াতি হওয়ার তথ্যও এ সময় তুলে ধরেন তিনি।

সিআইসির মহাপরিচালক বলেন, এস আলমের দুই ছেলে জালিয়াতি করে ৫০০ কোটি টাকা হোয়াইট করেছে। কিন্তু ঐ ব্যাংক আজ পর্যন্ত আমাকে তথ্য দেয়নি। তদন্ত করে দেখা গেল, এসআইবিএলের পটিয়া শাখায় ২১ ডিসেম্বরে পে অর্ডার কেটেছে। পরে ক্লিয়ারিং হয়। তখন সে ব্যাংক ওলটপালট করে আগের ডেটে পে অর্ডার দেয়। এটা হেড অফিস থেকে করা হয়। আরও অনেক সমস্যা আছে। আমরা ধরেছি।

ব্যাংক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আজও একটা রানিং ব্যাংক চেয়ারম্যানের ১২১ কোটি টাকা ব্লক করেছি। এর পাশাপাশি ব্যাংক খাতে অনিয়মের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে এসব ‘অলিগার্ক শ্রেণির’ বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের কাজ করার অনুরোধ জানান সিআইসির মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, ইভেন একটা লকার থেকে ১৫ কোটি টাকার ডায়মন্ড পেয়েছি আমি সিজ করে। বাংলাদেশের ওয়ান অব দ্য বিগেস্ট রিচ ম্যান, তার ওয়াইফের হাত কাঁপতে কাঁপতে কাঁপতে কাঁপতে তার গোল্ড মানে ইয়ে, হীরে পড়ে গেছে হাত থেকে। ছোট্ট আমার অফিসার বলেন, আপনি কাঁপছেন কেন। আপনার এত ভয় কেন। আপনার তো টাকার কোনো অভাব নেই।