বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫   ফাল্গুন ২৮ ১৪৩১   ১২ রমজান ১৪৪৬

ইউক্রেন নিয়ে ইলন মাস্কের পরামর্শ

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৪২ এএম, ১০ মার্চ ২০২৫ সোমবার

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক পরামর্শ দিয়েছেন, ইউক্রেনের শীর্ষ দশ অভিজাত ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের দ্রুত সমাধান হতে পারে। শনিবার (৮ মার্চ) এক্স-পোস্টে তিনি এই পরামর্শ তুলে ধরেন।

মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি'র নেতৃত্বদানকারী মাস্ক প্রায়শই কিয়েভের প্রতি মার্কিন সমর্থনের সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে সাধারণভাবে বিদেশি সহায়তার উপর মার্কিন ব্যয় কমানোর পক্ষেও কথা বলেন।

এক্স-প্ল্যাটফর্মে সিনেটর মাইক লির একটি পোস্টের জবাবে মাস্ক লিখেছেন, শীর্ষ ১০ জন ইউক্রেনীয় অভিজাতদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুন, বিশেষ করে যাদের মোনাকোতে প্রাসাদ আছে। এটি (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাবে। এটাই ধাঁধার মূল চাবিকাঠি।

ইউক্রেনীয় ফোকাস নিউজ অনুসারে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন এসসিএম গ্রুপের মালিক রিনাত আখমেতভ। তার পরেই রয়েছেন ইন্টারপাইপ গ্রুপের মালিক ভিক্টর পিনচুক, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পেট্রো পোরোশেঙ্কো, ডেনপ্রাজোটের মালিক ইগর কোলোমোইস্কি এবং ফেরেক্সপোর মালিক কনস্ট্যান্টিন ঝেভাগো।

তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ ব্যক্তিই জেলেনস্কির যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অবদান রাখছেন। পোরোশেঙ্কো এবং পিনচুক ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে ড্রোন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে আখমেতভ এমন একটি প্রকল্পের পেছনে রয়েছেন, যা সামরিক গোলাবারুদ, পরিবহন, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ড্রোন সরবরাহ করে। তিনি গত তিন বছর যুদ্ধ প্রচেষ্টায় প্রায় ২৭৪ মিলিয়ন ডলারের সমতুল্য ব্যয় করেছেন বলে জানা গেছে।

জেলেনস্কির সাম্প্রতিক ওয়াশিংটন সফরের পর কিয়েভ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মধ্যে মাস্কের এই মন্তব্য এসেছে। হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিয়েভের নেতার বৈঠকটি একটি 'বাকবিতণ্ডায়' পরিণত হয় এবং খনিজ চুক্তি সই করার পরিকল্পিত চুক্তি স্থগিত করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি স্থগিত করে।