মামুনুরের উপর হামলায় ওজোন পার্কে প্রতিবাদ
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৫১ এএম, ১৫ মার্চ ২০২৫ শনিবার

নিউইয়র্কের ওজোন পার্কে বাংলাদেশী অভিবাসী মামুনুর রশিদের উপর হামলা ও ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটি। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাদার সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির আয়োজনে এ বিক্ষোভ সবাবেশে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বাসিন্দা ও কমিউনিটি এক্টিভিস্টরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং কমিউনিটির নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি করেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি লিটল বাংলাদেশ এভিনিউতে (লিবার্টি এভিনিউ) অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, কার্যকরি কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী, হারুন চেয়ারম্যান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আবু নাসের, আব্দুল হক, নাইম টুটুল, নওশাদ হায়দার এ্যাডভোকেট লেবু পাটোয়ারি, খায়রুল ইসলাম খোকন, মাহমুদুল হক দুলাল, ফাহাদ হোসেন, কবির আহমেদ, নোমান চৌধুরী প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রাহমান সেলিম বলেন, লোকাল প্রিসেন্ট, অফিস লোকাল ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গো আমরা যোগাযোগ করবো। যেন এ এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
মো. আলী বলেন, বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলছে। কোন প্রতিকার পাওয়া যাাচ্ছে না। অন্য কোন কমিউনিটর সঙ্গে এমনটি ঘটছে না। তাই মেয়রকে বলল বাংলাদেশি কমিউনিটির নিরাত্তায় দয়াকরে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
স্থানীয়রা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরে উপর বেশ ককেটি হামলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।এসব অপরাধে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি। যে কারণে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। এমন অপরাপধ প্রবণতা হতাশা জনক।
বিক্ষোভ কারীরা বলেন, যেহেতু পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনা কমিয়ে আনতে পারছে না। তাই এক্ষেত্রে কমিউনিরি মানুষকেই আরও সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোন ঘটনা হলেও কয়েকজন মানুষই শুধু প্রতিবাদ জানায়। অন্যরা নির্লিপ্ত থাকে। ফলে কোন আয়োজনে উপস্থিতি কম থাকে। এতে এসব ঘটনা মূলধরারা নজরেও কম আসে। তাই নিজেদের আধিকার ও নিরাপত্তা আদায়ে সংঘবদ্ধ হতেই হবে। সম্মিলিত ভাবে পুলিশ ও মূল ধরার রাজনৈতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।
কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষরা বলেন, এ এলাকয় অনেকগুলো মসজিদ আছে সব মসজিদ থেকেও যদি কয়েকজন মানুষ কর্মসূচীতে অংশ নেয় তাহলে অনেক লোক সমাগম হবে। অন্যদের নজরে আসবে এসব ঘটনা।
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাসার কাছে ছিনতাইকারীর গুলিতে আহত হন মামুনুর রশীদ। হাসপাতালে তিন দিনের চিকিৎসা ও শরীর থেকে গুলি অপসারণের পর তিনি বাসায় ফেরেন। ওজোনপার্ক এলাকার ১০১ অ্যাভিনিউর ৭৪ স্ট্রিটের কাছে মামুনুর রশিদের বাসা। বাংলাদেশে তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগে।
জানা গেছে, বাংলাদেশি মামুন বাসার সামনে ফোনে কথা বলার সময় কালো মুখোশধারী যুবক মামুনের কাছে টাকা ও ফোন চাইলে মামুন তখন ভয়ে চিৎকার দিলে তাকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ মামুনকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় বসবাসকারী বিয়ানীবাজারের একজন মুরব্বি পুলিশে ফোন দিয়ে জানান। পরে পুলিশের অ্যাম্বুলেন্স তাকে উদ্ধার করে জ্যামাইকা হাসপাতালে ভর্তি করায়। এই হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।