‘বাঁচতে হলে এক লাখ টাকা বিকাশ কর’, বললেন যুবদল নেতা
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:২২ এএম, ১৬ মার্চ ২০২৫ রোববার

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন নয়নের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মচারীকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘বাঁচতে হলে দ্রুত এক লাখ টাকা বিকাশ কর।’
গতকাল শুক্রবার চাঁদা দাবির কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন নয়ন কবিরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহজঙ্গপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি জেলা যুবদলের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এবং কবিরহাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
ভুক্তভোগী মো. সাকায়েত উল্যাহ শিপন একই উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের চন্দ্রশুদ্ধি গ্রামের আবদুল ওহাবের ছেলে। তিনি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কর্মরত।
অডিওতে শোনা যায় নয়ন সাকায়াত উল্যাকে বলেন, বারিষ্ট্যার মওদুদ আহম্মদ তোমাকে চাকরি দিয়েছেন। কিন্তু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তুমি নৌকার পক্ষে ভোট করেছ। তাই আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এক লাখ টাকা আমার মোবাইলে বিকাশ করে পাঠাও।
ভুক্তভোগী সাকায়েত উল্যাহ বলেন, গত ৫ই আগষ্টের পরে যুবদল নেতা নয়ন উদ্ভট কথা বলে এক লাখ টাকা দেওয়ার জন্য ফোনে আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। তাই আমি নিরাপত্তার জন্য ঢাকার শাহাবাগ থানায় একটি জিডি করেছি।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত নয়ন বলেন, বিগত সরকারের আমলে সাকায়েত উল্যাহ আমার তিন লাখ টাকার মতো ক্ষতি সাধন করিয়াছে। ওই পাওনা টাকা হতে আমি এক লাখ টাকা তার থেকে চেয়েছিলাম।
শাহবাগ থানা সূত্র জানায়, আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী মো. সাকায়েত উল্যার অভিযোগটি সাধারণ ডায়রিতে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।