হিন্দুত্ববাদের এবারের টার্গেট সম্রাট আওরঙ্গজেবের মাজার
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৩০ এএম, ১৮ মার্চ ২০২৫ মঙ্গলবার

ভারতে এবার মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মাজার ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছে একাধিক হিন্দুত্ববাদী দল। আওরঙ্গজেবের মাজার সরিয়ে নেওয়া না হলে সেখানে বাবরি মসজিদের মতো পরিণতি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল। মহারাষ্ট্রের সম্ভাজিনগর (আগের নাম আওরঙ্গবাদ) জেলার খুলদাবাদে রয়েছে সর্বশেষ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মাজার। সেখান থেকে মাজার উচ্ছেদের দাবিতে সোমবার মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলায় বিক্ষোভ করে বজরং দলের সমর্থকরা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর দাবি, আওরঙ্গজেবের মাজার পরাধীনতা ও নৃশংসতার প্রতীক। এটি সরিয়ে ফেলা উচিত। তারা মহারাষ্ট্র সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে বড় আকারের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, এমনকি করসেবা করে মাজার ভাঙার উদ্যোগও নেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয় তারা।
যদিও হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেই মাজার ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী সঞ্জয় শিরাসাতও। ওই মাজার সরিয়ে ফেলাই উচিত বলে মত দিয়েছেন তিনি। তার মতে, যে শাসক জনগণের ওপর অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত ছিলেন, তার স্মৃতি কোনোমতেই সংরক্ষণ করা উচিত নয়।
এর আগে আওরঙ্গজেবের মাজার সরানোর দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতারা। দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। ১০ মার্চ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি।
মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, এটি আইনের মাধ্যমেই করতে হবে। কারণ পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার এই মাজারটি আর্কেওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) কাছে হস্তান্তর করেছিল এবং স্থানটি ভারতীয় প্রতœতাত্ত্বিক সংস্থা কর্তৃক সুরক্ষিত।
সম্প্রতি মারাঠা রাজা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের বংশধর ও বিজেপির সাতারা সংসদ-সদস্য উদয়ন রাজে ভোঁসলে সম্রাট আওরঙ্গজেবের মাজারটি ভেঙে ফেলার দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘কী প্রয়োজন... জেসিবি মেশিন পাঠিয়ে তার মাজার ভেঙে ফেলা উচিত... তিনি ছিলেন একজন চোর এবং লুটেরা (ডাকাত)।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা আওরঙ্গজেবের মাজারে যায় এবং শ্রদ্ধা জানায় তারা তার ভবিষ্যৎ (আশ্রয়) হতে পারে। তাদের উচিত সেই মাজারটি তাদের নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু তার পরও আওরঙ্গজেবের গৌরব ও প্রশংসা আর সহ্য করা হবে না।’