নেতানিয়াহু প্রবেশ করা মাত্র গ্রেপ্তার করুন: এইচআরডব্লিউ
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:১৮ এএম, ৩ এপ্রিল ২০২৫ বৃহস্পতিবার

গাজায় গণহত্যার দায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও হাঙ্গেরী সফরের ঘোষণা দিয়েছেন গণহত্যাকারী এ নেতা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয় চলতি সপ্তাহেই হাঙ্গেরী সফরে যাচ্ছেন তিনি।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের কঠোর সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। পাশাপশি নেতানিয়াহু হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করা মাত্র আইসিসির পরোয়ানাকে সম্মান জানিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থা।
‘আইসিসি’র অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে হাঙ্গেরি এ আদালতকে সহযোগিতা করতে বাধ্য। আইসিসির কোনো নিজস্ব পুলিশ নেই, তাই এ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে—এমন কোনো ব্যক্তি যদি আইসিসির কোনো সদস্যরাষ্ট্রে প্রবেশ করে তাহলে তাকে গ্রেপ্তার বা আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর বাধ্যবাধকতা আছে। এক্ষেত্রে আইসিসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করে।’
‘নেতানিয়াহু গুরুতর যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং তাকে সফরের আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে আর্বান কার্যত এসব অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের অপমান করেছেন। তবুও হাঙ্গেরির প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে— আইসিসির বাধ্যবাধকতা মেনে চলুন এবং নেতানিয়াহু হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করা মাত্র তাকে গ্রেপ্তার করুন।’
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান পরিচালনা এবং উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের নামে হাজার হাজার বেসামরিক নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ২০২৪ সালের নভেম্বরে নেতানিয়াহুকে দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি।
আইসিসির মোট সদস্যরাষ্ট্র ১২৫টি। এই আদালতের কোনো নিজস্ব পুলিশবাহিনী নেই, তবে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আদালতের সনদে উল্লেখ করা হয়েছে যে আইসিসির ঘোষিত কোনো আসামি যদি এই ১২৫টি সদস্যরাষ্ট্রের কোনো একটিতে অবস্থান করে, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা ওই দেশের সরকারের দায়িত্ব।