ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর ছবি পেটানোর খবর ইসরায়েলি মিডিয়ায়
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:২৫ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ রোববার

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর ছবি পেটানোর খবর ইসরায়েলি মিডিয়াসহ বিশ্ব গণমাধ্যমে এসেছে।
শনিবার (১২ মার্চ) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। সমাবেশে সারাদেশ থেকে আগত লক্ষাধিক জনতা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে অংশ নেন। কারও হাতে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, কারও হাতে ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব?’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘গাজা উই আর উইথ ইউ’, ‘স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা’ লেখা প্ল্যাকার্ড।
এসময় নানা বয়সী মানুষকে স্লোগান দিতে দিকে উদ্যানের দিকে যেতে দেখা গেছে। তাদেরকে নারায়ে তাকবির, আল্লাহ আকবর, তুমি কে, আমি কে, ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিন, ইসরায়েলের দোসররা, হুশিয়ার সাবধান, ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন আরও অসংখ্য স্লোগান দিতে দেখা যায়।
অংশ নেওয়া অনেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থনের অভিযোগে রক্তমাখা কুশপুতুল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। আবার কিছু ছবিতে দেখা গেছে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের ছবিতে জুতাপেটা করতে।
বাংলাদেশের এই মার্চ ফর গাজা কর্মসূচির খবর উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এমনকি ইসরায়েলের গণমাধ্যমও প্রচার করেছে বিক্ষোভের এই খবর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটে প্রেস (এপি), টাইমস অব ইসরায়েল, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, আরব নিউজ প্রভৃতি।
এপি শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের রাজধানীতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে প্রায় এক লাখ মানুষ।’ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজার হাজার মানুষের হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে ‘ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দেওয়ার ঘটনা।
এই সংবাদের বরাতে খবর প্রচার করেছে খোদ ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন। এতে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ১ লাখ মানুষ। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। তারা ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নিয়ে ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’ স্লোগান দেন। ইসরায়েলকে সমর্থনের অভিযোগে অনেককেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি পেটাতে দেখা গেছে। সমাবেশে তারা প্রতীকী কফিন ও কুশপুতুল নিয়ে আসে।
এদিকে আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ঢাকার সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় সংহতি সমাবেশ। বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ ধারাটি পুনর্বহাল করার আহ্বান জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলেছে, সমাবেশে প্রায় এক লাখ মানুষ ছিলেন। এতে বিএনপিসহ ইসলামী দলগুলোর সমর্থনের কথা উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।