পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:৪৬ এএম, ২১ এপ্রিল ২০২৫ সোমবার

শেখ হাসিনা গদিচ্যুত হয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ভারত বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ধর্মীয় উন্মাদনার ভুয়া তথ্য হাজির করে ভারত প্রতিনিয়ত এমনসব বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কিছু কিছু বিষয়ে তারা নাক গলানোরও চেষ্টা করছে। পতিত শেখ হাসিনা, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন; জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তা ভেঙে যাওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে পূর্বাবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য তারা এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে তাদের স্বার্থরক্ষায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে নানামুখী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য ভারত নতুন করে তার গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’কে সক্রিয় করেছে। কথিত আছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরপর ‘র’-এর যে শতাধিক সদস্য বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে ফিরে গিয়েছিল, তারা নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ‘র’ এযাবৎ যতগুলো উদ্যোগ নিয়েছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর ১০ আগস্ট চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের সমাবেশের আড়ালে একটি প্রতিবিপ্লব করার পরিকল্পনা করেছিল। এজন্য বিপুলসংখ্যক ভারতীয় সাংবাদিকও সেদিন ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন। সেটি ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় ক্যু পরিকল্পনা করা হয়েছিল ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সমাবেশ ঘটানো। সেটিও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তৃতীয় পরিকল্পনাটি ছিল আনসার বিদ্রোহের মাধ্যমে। এটিও আলোর মুখ দেখতে ব্যর্থ হয়। ভারত এ মুহূর্তে দুই নৌকায় পা রেখে চলতে চেষ্টা করছে। প্রথমত, অন্তর্বর্তী সরকার ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির গতিবিধি নজরদারি করা; অন্যদিকে দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তুলে সরকারের ওপর অব্যাহতভাবে চাপ বজায় রাখা। ভারত মনে করছে, আগামীতে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তাতে আওয়ামী লীগ বেশি নিরাপদ থাকবে। ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা যে শান্তিতে দেশ চালাবে, সে আশা করা বোধহয় ঠিক হবে না। এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, তারা যখন দেশ চালাবেন, তখন চারদিক থেকেই নানাবিধ সংকট সামনে চলে আসবে অথবা সংকট তৈরি করা হবে, যাতে অধিকতর রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তাতে আওয়ামী লীগ একটা পলিটিক্যাল স্পেস পেয়ে যেতে পারে। এসব পরিকল্পনা সামনে রেখে ভারত ইতোমধ্যেই ‘র’-এর মধ্যে একটি উপ-গ্রুপ গঠন করেছে, যার নাম দিয়েছে ‘বাংলা মিশন’। যাদের কাজই হবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মনিটর করা, প্রয়োজনে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করে পরবর্তী কোর্স অব অ্যাকশন কী হতে পারে, সে বাপারে ভারত সরকারকে পরামর্শ দেওয়া।
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার তালিকার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করে তোলা ভারতের অন্যতম উদ্দেশ্য। গত আগস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই ভারত সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর কিছু কিছু লক্ষণ আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি। এ বিষয়ে তারা অনেক দূর এগিয়ে গেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বা জেএসএসের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পরপর জেএসএস ভেঙে দুভাগ হয়ে যায়। জন্ম নেয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফ নামে একটি সশস্ত্র সংগঠনের। এ সংগঠনটির যাত্রার শুরু থেকেই জেএসএস অভিযোগ করে আসছিল, বাংলাদেশ সরকারের মদদেই নাকি ইউপিডিএফ গঠন করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএসের অপতৎপরতা প্রতিহত করার জন্য সরকারের পূর্ণ সহযোগিতায় ইউপিডিএফ পাহাড়ে সশস্ত্র কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে বলে তাদের অভিযোগ। তবে যে তথ্য বরাবরই পর্দার আড়ালে ছিল তা হলো, ইউপিডিএফ সৃষ্টির গোড়া থেকেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। ইউপিডিএফের সঙ্গে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের যে যোগাযোগ আছে এবং তাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে যে সাহায্য করে আসছে, তার প্রমাণ পরবর্তীকালে পাওয়া গেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ভারত পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এ সন্ত্রাসী সংগঠনকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে। এ বছরের গোড়ার দিকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদের এমন একটি চালান ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে আটক করা হয়। অস্ত্র চালান আটকের খবর তখন ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি মিজোরামে মামিত জেলার পশ্চিম ফাইলং থানার এক গ্রাম থেকে স্থানীয় পুলিশ এ অস্ত্রের চালান আটক করে। অস্ত্রের এ চালানটি ইউপিডিএফের কাছে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল বলে খবরে বলা হয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একে-৪৭ রাইফেল ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও ম্যাগাজিন। জানা গেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মিজোরাম সরকারের সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তেমন সমন্বয় ছিল না; ফলে অস্ত্রের চালানটি স্থানীয় পুলিশের হাতে আটকে যায়। যদিও পুলিশ পরবর্তীকালে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে অস্ত্রের এ চালান উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে বাংলাদেশে পাচার হওয়ার কথা বলে ভারতের সম্পৃক্ততার কথা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মিজোরামে অস্ত্র আটকের কিছুদিন আগেই ১ জানুয়ারি, রাঙামাটি জেলার দুর্গম বন্দুকভাঙা রেঞ্জের ওপর ইউপিডিএফের এক গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানকালে নিরাপত্তা বাহিনী, ভারত থেকে অস্ত্রের চালান আনার আলামতও উদ্ধার করে।
ভারত সন্ত্রাসী দলগুলোকে যে আধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে, তা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারত যে কায়দায় তথাকথিত শান্তিবাহিনী গঠন করে, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে দুই দশকের ওপর (১৯৭৫-১৯৯৭ সাল) পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করে রেখেছিল; এবার তারা হয়তো আরও অধিকতর হিংসাত্মক কার্যকলাপের পরিকল্পনা করছে। উল্লেখিত দুই দশকে, বাংলাদেশের অখণ্ডতা রক্ষার্থে সরকার বাধ্য হয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েন করতে। এ সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন, অস্ত্র ও সামরিক রসদ জোগান এবং অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ বাবদ বাংলাদেশকে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছিল। ওই সময় প্রাথমিক পর্যায়ে ভারত শান্তিবাহিনীকে যে অস্ত্র দিয়েছিল, কার্যকারিতার বিচারে সেসব অস্ত্র খুব যে আধুনিক ছিল, তা নয়। সে সময় থ্রি নট থ্রি রাইফেল, স্টেনগান, হালকা মেশিনগানসহ স্থানীয়ভাবে তৈরি দেশীয় অস্ত্র ছিল শান্তিবাহিনীর অস্ত্রভান্ডারে। বিভিন্ন অভিযানে শান্তিবাহিনীর কাছ থেকে যেসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল, তা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের পর ভারত যে অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিল, সেসব অস্ত্রই শান্তিবাহিনীকে দিয়েছিল। বিশেষ করে থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও স্টেনগান। অর্থাৎ যে অস্ত্র দিয়ে একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী লাখ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে, ওই একই অস্ত্র শান্তিবাহিনীকে দিয়ে ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার খেলায় মেতে উঠেছিল। সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শেষ পর্যায়ে, ভারত শান্তিবাহিনীকে ৬০ মিমি. মর্টার ও প্রাণঘাতী বিস্ফোরকও সরবরাহ করেছিল। সে সময় শান্তিবাহিনীর হাতে শক্তিশালী ক্ষুদ্রাস্ত্র বলতে হালকা মেশিনগান ছিল; কিন্তু এবারের আশঙ্কা অন্য কারণে। ভারত এবার পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আরও আধুনিক ও ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশে ‘র’-এর গোপন তৎপরতা নিয়ে ৭ এপ্রিল দৈনিক যুগান্তরে আমার অন্য একটি লেখায় ভারত কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংগঠনকে ভারী মেশিনগানের গোলাবারুদ সরবরাহের কথা উল্লেখ করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের জেএসএসের সশস্ত্র সংগঠনের এক সদস্যের ফেসবুক ওয়ালে একটি ছবি পোস্ট করা হয়; যেখানে ওই সদস্য জানাচ্ছেন, এমিউনিশন্সগুলোর চালান খুব সম্প্রতিই তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। ছবিগুলো স্ক্রল করতে করতে পোস্টে সংযোজিত ছবিতে দেখা যায়, এমিউনিশন হলস্টার বা প্যাকেটের ওপর স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে ‘Ammunition Factory Khadki’ এবং তাদের সাপ্লাই দেওয়া লিথাল এমিউনিশনগুলো বেশ বড়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে, এগুলো ১২.৭x৯৯ ক্যালিবারের; যা ভারী মেশিনগানে ব্যবহৃত হয়। এমিউনিশন ফ্যাক্টরি ‘খাদকী’ বা ‘খাদকী অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি’ হলো ভারতের একটি অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান; আঠারো শতকের দিকে প্রতিষ্ঠিত এ দেড়শ বছরের পুরোনো অস্ত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানটি ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, প্যারামিলিটারি ফোর্স এবং বিভিন্ন বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার জন্য সফিস্টিকেটেড স্মল আর্মস তৈরি করে। কয়েক মাস ধরেই রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভারত থেকে পাঠানো এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত করার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ভারতের এ গোপন তৎপরতা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ সন্দেহ নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করে বাংলাদেশকে চাপের মধ্যে রাখাই হলো ভারতের মূল উদ্দেশ্য। ভারত এ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে যেভাবে সজ্জিত করছে, তাতে শঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর ভারতের ইশারায় জেএসএস আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে, সে চুক্তির শর্ত মোতাবেক পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকাগুলো থেকে ২৩৯টি সেনাছাউনি প্রত্যাহার করা হয়। এ কারণে পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম সীমিত হয়ে আসে; ফলে সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নতুন করে সংগঠিত হয়ে এ দুর্বলতার সুযোগ নিতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। এরূপ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে আরও দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভারতের এ অপতৎপরতা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আরও সক্রিয় করে তুলতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ব্যাপক তৎপরতা বাড়াতে হবে, যাতে সন্ত্রাসীদের প্রতিটি মুভমেন্ট নজরদারির মধ্যে রাখা যায়। ভারত থেকে অস্ত্রের চালান ঠেকাতে সীমান্ত অঞ্চলেও নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলে নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায়, ফাইটিং ও ডমিনেশন প্যাট্রোল জারি রাখতে হবে, যাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সহজেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ না পায়। স্থানীয় প্রশাসনকেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে হবে। প্রশাসনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সম্পর্কে স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালিদের সচেতন করার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়। আশি-নব্বই দশকের মতো স্থানীয় জনগণকে ব্যবহার করে ভারত তাদের হীন উদ্দেশ্য সাধনে পাহাড়কে আবারও অশান্ত করার যে পরিকল্পনা করেছে, এ বিষয়টি তুলে ধরে সরকারি উদ্যোগে পার্বত্য অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক প্রেষণামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কলাম লেখক