শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নারায়ণগঞ্জে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে ৯৮জন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার

নারায়ণগঞ্জে নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর ও ফতুল্লা থানায় পৃথক মামলায় ৯৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে শীতলক্ষ্যা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ১৪ জনকে এবং ২৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০জন সহ আসামি করা হয়েছে ৩৯ জনকে। নাশকতার পৃষ্ঠপোষকতাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এম এইচ মামুনকে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে নাশকতার খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম শহরের আমলাপাড়া গার্লস স্কুল থেকে ১৪ জন আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ঘটনাস্থলে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল, আওলাদ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এম এইচ মামুন, রনি, গোলাম কাদের, অহিদুল ইসলাম ছক্কু ও হাজী নুরুদ্দিন উপস্থিত ছিল।

ঘটনাস্থল থেকে ২টি বিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মিজানুর রহমান, মিলন, শাকিল, এনামুল, আবুল হাসান সজিব, আজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ, মো. আব্দুল কায়ূম হোসেন, তানজির আহম্মেদ মোক্তার ওরফে মোক্তাজুল, রফিকুল ইসলাম, শান্ত হোসেন, সাহাবুদ্দিন ও আবু সাঈদ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে এটিএম কামাল ও এম এইচ মামুন ছিলেন নাশকতার বড় পরিকল্পনাকারী। তাদের নির্দেশে লোকজন জমায়েত করে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। অপরদিকে ফতুল্লা মডেল থানায় নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথকভাবে দুটি মামলা হয়েছে।

গত শুক্রবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শফিউল আলম ও কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। মামলা দুটিতে পাগলা হাইস্কুলে জিনিয়াস বৃত্তি পরীক্ষা চলাকালে আটক ২৬ ও অপর ঘটনায় ৩৭জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। একটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা স. ম নুরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেলকেও আসামি করা হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার এস আই কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার দিনগত রাতে যে মামলাটি করেন সেখানে আটক ২৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা করেছে পুলিশ। এতে মামলায় গ্রেফতার ২৬ জনের সঙ্গে ১১টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশনায় বেশ কয়েকটি বই জব্দ দেখানো হয়। মামলায় অজ্ঞাত ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বন্দর থানায় গতকাল শনিবার সকালে ও গত শুক্রবার বন্দর এসএস শাহা রোডের বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভিতর থেকে ২১ জন জামায়াত শিবির ও বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ৪টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ হানিফ বাদী হয়ে বন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করেছে।