সব আমল নষ্টের মূলে শিরক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৪:২৭ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার
শিরক হচ্ছে সব পাপের বড় পাপ। যা আল্লাহ তায়ালা কখনোই ক্ষমা করবেন না। যদি কোনো ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে মারা যায় তাকে চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকতে হবে।
শিরকের ভয়াবহতা এত বেশি যে, শিরক মানুষের সব আমল নষ্ট করে দেয়, মানুষকে চিরস্থায়ী জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেয়।
প্রিয় পাঠক, শিরক নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনার তৃতীয় পর্ব দেয়া হলো। আসুন, আমরা শিরক থেকে মুক্ত থাকি।
আল্লাহ যা করান, তাই করি : একদল ফকীর বলে, আল্লাহ যা করান, তা-ই করি। আল্লাহ সালাত আদায় করান না, তাই আদায় করি না, আল্লাহ গাঁজা টানাচ্ছেন, তাই টানি। তাক্বদীরে ছালাত থাকলে তো আদায় করব।
সীনায় সীনায় মা‘রেফতী: ভন্ডপীর বা দরবেশ দাবীদার একদল লোক বলে থাকে, ‘কোরআন শরীফ মোট ৪০ পারা। ৩০ পারায় যাহেরী ইলমের বিষয় আছে। বাকি ১০ পারা মারেফতী বিদ্যায় ভরা রয়েছে। এ ১০ পারা আমরা সীনায় সীনায় পেয়েছি। শরী‘আতের আলিমরা এগুলোর খবর রাখেন না। এগুলো গোমরাহী।
শরী‘আতের ইত্তেবা সর্বাবস্থায় ফরজ নয়: অনেকের ধারণা, মুরীদ যখন মা‘রেফাতের উচ্চ শিখরে পৌঁছে যায়, তখন তার জন্য শরী‘আতের হুকুম-আহকাম, ছালাত, ছওম ইত্যাদি মাফ হয়ে যায়।
শিরকের গন্ধযুক্ত উপাধি: পীর বা ওলীকে এমন কোনো উপাধিতে সম্বোধন করা উচিত নয় যা অর্থগত দিক দিয়ে আলাহ তায়ালার জন্য প্রযোজ্য। যেমন- গাউছুল আযম (সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী), গরীবে নেওয়াজ (গরীবরা যার মুখাপেক্ষী), মুশকিল কোশা (যার মাধ্যমে বিপদাপদ দূর হয়), কাইয়ূমে যামান (যামানা কায়েম করেছেন যিনি) ইত্যাদি।
সন্তানের নামকরণে নবী ও পীর-আওলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন: গোলাম মুছত্বফা (মুছত্বফার গোলাম), আব্দুন্নবী (নবীর দাস), আব্দুর রসূল (রসূলের দাস), আলী বখশ (আলী (রা.)-এর দান), হোসেন বখশ (হুসাইন (রা.)-এর দান), পীর বখশ (পীরের দান), মাদার(‘মাদার’-কে বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলের হিন্দুরা বড় ঋষি বলে জানে।) বখশ (মাদারের দান), গোলাম মহিউদ্দীন (মহিউদ্দীনের গোলাম), আব্দুল হাসান (হাসানের গোলাম), আব্দুল হুসাইন (হুসাইনের গোলাম), গোলাম রসূল (রসূলের গোলাম), গোলাম সাকলায়েন ইত্যাদি নাম রাখা।
এ ধরনের কাজ শিরকের অন্তর্ভূক্ত। মহান আল্লাহ যেন আমাদের সব ধরনের শিরক থেকে মুক্ত রাখেন, আল্লাহুম্মা আমিন।