সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রূপগঞ্জে নৌকার পালে হাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৬:০৭ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার

আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনে আওয়ামী লীগের গত এক দশকের বিদ্যমান কোন্দলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের মধ্যস্থতায় দীর্ঘদিনের এই বিরোধের সমাপ্তি ঘটে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংসদ সদস্যের চলমান বিভেদ নিষ্পত্তিতে নতুন করে হাওয়া লেগেছে নৌকার পালে। দুইধারায় বিভক্ত আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় উজ্জীবিত হয়েছেন মাঠ পর্যায়ের সর্বস্তরের  নেতাকর্মীরা। জানা যায়, গত ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)-এর সঙ্গে থানা আওয়ামী লীগের দূরত্ব তৈরি হয়।

সে থেকে অদ্যাবধি দুইধারায় বিভক্ত ছিল রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। এরই ফলশ্রুতিতে চলতি নির্বাচনে এমপি’র বিপক্ষে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন তরুণ শিল্পপতি আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শাজাহান ভূঁইয়াসহ ৩২ মনোনয়ন প্রত্যাশী। বহু নাটকীয়তার পর পুনরায় গাজীকে মনোনয়ন দেয়া হলেও কোন্দলের নিষ্পত্তি না হওয়ায় অনেকটা অনিশ্চয়তায় পরে যায় প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী

কোন্দল নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিকী ও সর্বশেষ গত ১৪ই ডিসেম্বর বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ আহমেদ আকবর সোবহান দুইপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। নিষ্পত্তি করেন দীর্ঘদিনের কোন্দল। ফলে নতুন করে হাওয়া লাগলো নৌকার পালে। উজ্জীবিত হয়েছে মাঠের নেতাকর্মীরা।

নতুন উদ্যমে চলছে তাদের প্রচারণা। আওয়ামী লীগের ৩২ মনোনয়ন প্রত্যাশী একমঞ্চে থাকায় টানা তৃতীয়বারের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনটি আবারো তাদের দখলে থাকতে পারে মনে মনে করছেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা ও রঙধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বিশাল দলে নিজেদের মধ্যে ভুল  বোঝাবুঝি থাকতেই পারে। সে কারণে জামায়াত-বিএনপিকে সুযাগ দিয়ে উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।