মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তাবলিগের সংকট নিরসনে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৬:৪৮ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ বুধবার

 

তাবলিগের চলমান সংকট নিরসন ও আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা সফলের লক্ষ্যে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি উচ্চতর প্রতিনিধি দল ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে যাচ্ছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১০ জনের নামের তালিকা পাঠিয়েছে একটি চিঠি ইস্যু করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন-১) মো. শিব্বির আহমদ উছমানী।

তিনি জানান, ১৫ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনো সময় দারুল উলুম দেওবন্দ সফর করবেন।

চূড়ান্ত তালিকায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা,ওলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের উভয়পক্ষের মুরব্বিদের সমন্বয়ে প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

ধর্ম বিষয়ক সচিব মো. আনিসুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনপত্র সোমবার (১৪ জানুয়ারি) আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়। সফরের অন্যান্য প্রস্তুতিও চূড়ান্ত।

প্রস্তাবিত প্রতিনিধি দলে যারা রয়েছেন

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব অ্যাডভোটেক শেখ মো. আব্দুল্লাহ, ধর্ম সচিব মো. আনিসুর রহমান, পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের আহলে শুরা মাওলানা রবিউল হক ও সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম, কাকরাইল মসজিদের মুকিম মাওলানা আশরাফ আলী, মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক ও ইক্বরা বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন।

চিঠিতে বলা হয়, মাননীয় ধর্মমন্ত্রী উল্লিখিত দশজনকে নিয়ে ১৫ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি মধ্যে সম্ভাব্য যে কোনো তারিখে দারুল উলুম দেওবন্দ সফর করবেন এবং সফরকারীরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উত্তম সমাধান লাভের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তাবলীগের চলমান পরিস্থিতি বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে মাওলানা সাদের ব্যাপারে দারুল উলুম দেওবন্দের সিদ্ধান্ত জানতে একটি প্রতিনিধি দলকে দেওবন্দ পাঠানোর বিষয় চূড়ান্ত হয়েছিল।