বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খোস-পাঁচড়া হলে যা করণীয়

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:০৪ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার


অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি রোগের নাম স্ক্যাবিস বা খোস-পাঁচড়া। এটি সারকপটিস স্ক্যাবি নামক ক্ষুদ্র মাইট দ্বারা হয়। মাইট উকুনের মতো জীবাণু। এটি কোনো যৌন রোগ নয়।

যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে, তাই খুব সহজেই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হয়। সাধারণত একই বিছানায় শোয়া বা ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে থাকলে, একই কাপড়-চোপড় ব্যবহার করলে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে।

ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে থাকার ফলে মাইট আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে অন্যদের শরীরে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। আবার আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড়-চোপড় ব্যবহারের মাধ্যমেও রোগ ছড়িয়ে পড়ে।

কারণ মাইট শরীরের বাইরে অর্থাৎ কাপড়-চোপড়, কাঁথা-বালিশ, আসবাবপত্রে দুই-তিন দিন বেঁচে থাকতে পারে। ত্বকের ওপর অনেক সোজা অথবা ‘বন’ আকারে কালো সুতার মতো ছোট ছোট রেখা দেখতে পাওয়া যায়, এটাকে বারো বলে।


এ রেখার শেষভাগে ছোট দানা বা পানিযুক্ত ছোট দানা থাকে। প্রকৃতপক্ষে এ দানাগুলোই এসব মাইটদের আবাসস্থল। এখানে ডিম পারে।

উপসর্গ : এ রোগের বিশেষ ও প্রধান উপসর্গ হল সারা শরীরে চুলকানো। এ চুলকানি রাতে বেশি হয়। রাতে বিছানার গরমের জন্য মাইটগুলো চামড়ার নিচে চলাচল করতে শুরু করে, ফলে রাতে চুলকানি অনুভূত হয় ও বিরক্তি লাগে।

জটিলতা : সময়মতো চিকিৎসা না করালে চামড়া ও কিডনির নানা সমস্যা দেখা যায়। যেমন- একজিমাটাইজেশন, অর্থাৎ চামড়া কালো ও পুরু হয়ে যায়। ইমপিটিগো দানাগুলো ব্যাকটেরিয়া দিয়ে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করে।

প্রতিকার : পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ পরিহার করা। বিছানার তোষক রোদে দিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নেয়া উত্তম।