শামছুল হক ফরিদপুরী আমার আধ্যাত্মিক গুরু: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৫৩ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৯ রোববার
দেশের প্রখ্যাত বুজুর্গ আলেম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরীর (ছদর সাহেব) কবর জিয়ারত করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং শীর্ষ আলেম-উলাম, পীর-মাশায়েখদের নিয়ে শুক্রবার তিনি গওহরডাঙ্গায় আসেন। এ সময় তাকে স্বাগত জানান গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।
কবর জিয়ারত শেষে উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমি গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার ছাত্র। হজরত ছদর সাহেব হুজুরের সাথে আমার গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনি আমার আধ্যাতিক গুরু। তার রুহানি দোয়া নিতে আমি তার মাজারে এসেছি। আমি আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আলেম উলামাদের দোয়া নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু করতে চাই।’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন তা আমি দেশের আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখদের সাথে পরামর্শ করে সকল কাজের আঞ্জাম দেব। আমি দেশের শীর্ষ একটি ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম এবং দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হওয়ার কারণে দেশের সর্বস্তরের আলেম-উলাম, পীর-মাশায়েখ, ধর্ম বোদ্ধা এবং সকল ধর্মের ধর্মগুরুদের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমি সকলের সহযোগিতা নিয়েই এই মন্ত্রণালয় পরিচালনা করব।’
শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইতিপূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসা সনদসহ যেসব দায়িত্ব দিয়েছিলেন তা আমি আলেম-উলামাদের নিয়ে নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। সবার দোয়া এবং সহযোগিতায় সফলও হয়েছি। আশা করি সামনের দিনগুলোতেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দেবেন তা সবাইকে সাথে নিয়ে নিষ্ঠার সাথে পালন করবো।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মুফতি নুরুল ইসলাম, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গার মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, তানজিমুল মুদাররিসিন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা ঝিনাত আলী, কাজুলিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবুল কালাম, মুসলিম এতিমখানার মাওলানা হায়াত আলী, কোর্ট মসজিদ মাদ্রাসার মোহতামিম মুফতি আব্দুল হাফিজ, গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুফতি উসামা আমীন, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মুফতি হারুনার রশীদ, মাওলানা আনিছুর রহমান, মাওলানা আতাউর রহমান প্রমুখ।