শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিপিএলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা আসতে পারে

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৭:২৫ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার

টি-টোয়েন্টির আবিষ্কার পাল্টে দিয়েছে ক্রিকেট দুনিয়ার হিসাব-নিকাশ। তারই এক বাজারি সংস্করণ ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) চালুর পর থেকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে।

আইপিএলের জনপ্রিয়তা দেখে টেস্ট খেলুড়ে বিভিন্ন দেশ ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু করেছে। তবে আইপিএলের জনপ্রিয়তা ভাটা পড়ার আশঙ্কায় বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজি লিগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের খেলার অনুমতি দিচ্ছে না বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।

পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) এবং শ্রীলংকান ক্রিকেট লিগের (এসএলপিএল) মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ক্রিকেটারদের খেলার অনুমতি দিচ্ছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

২০১২ সাল থেকে শুরু হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। দেশের ক্রিকেটের এই জনপ্রিয় আসরে বিশ্বের তারকা ক্রিকেটাররা অংশ নিলেও ভারতীয় তারকা ক্রিকেটাররা খেলার অনুমতি পাচ্ছেন না।

তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সেক্রেটারি অমিতাভ চৌধুরী বললেন ভিন্ন কথা। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভায় অংশ নিতে ঢাকা সফরে আসা বিসিসিআইয়ের এই সেক্রেটারি বৃহস্পতিবার যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপে বলেন, ‘বিপিএলে খেলাটা ভারতীয় ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। ক্রিকেটাররা চাইলেই বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় আসরে খেলতে পারে। এখানে তাদের কোনো বিধিনিষেধ নেই।’

ভারতের অনেক ক্রিকেটার বিপিএলে খেলতে আগ্রহী। ক্রিকেট বোর্ড থেকে অনুমতি না পাওয়ায় তারা আসতে পারছেন না। ক্রিকেটারদের অনুমতিপত্র দেয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সেক্রেটারি অমিতাভ বলেন, ‘আসলে এখানে অনুমতির কিছু নেই। ক্রিকেটাররা চাইলেই খেলতে পারে। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’

এশিয়া মহাদেশে ভারতীয় ক্রিকেট দলের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। সবশেষ দুই দশকে ধারাবাহিক পারফর্ম করে যাচ্ছে ক্রিকেট ইন্ডিয়া। গত বিশ বছরে তিনবার এশিয়া কাপ, একবার করে বিশ্বকাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ভারত। শুধু জাতীয় দলই নয়, বয়স ভিত্তিক দলগুলোও দেশে এবং বাইরে দুর্দান্ত খেলছে।

ভারতের এই অগ্রগতি প্রসঙ্গে বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি অমিতাভ বলেন, ‘ক্রিকেটে আমাদের উন্নতির একটাই কারণ আমরা ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খুব বেশি গুরুত্ব দেই। বয়স ভিত্তিক দলগুলোতে যারা খেলে তাদের আমরা বেশি করে প্রমোট করি। তাদের জন্য দেশে এবং বাইরে ধারাবাহিক খেলা রাখার চেষ্টা করি।’

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) এই সদস্য আরও বলেন, ‘এখন যারা বয়স ভিত্তিক দলে খেলছে তারাই এক সময় জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবে। কাজেই তাদের কাঙ্খিত মানে পরিণত করতে পারলে জাতীয় দল নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আমার বিশ্বাস টেস্ট খেলুড়ে দলগুলো তাদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে নজর দিলে পাইপ লাইন আরও স্ট্রং হবে। তখন জাতীয় দল নিয়ে আর ভাবতে হবে না।’