সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঘুষ দিয়ে পাওয়া চাকরির বেতনও কী হারাম?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:০৬ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

 ঘুষ একটি সামাজিক ব্যাধি। স্বাভাবিক ও বৈধ উপায়ে যা কিছু পাওয়া যায় তার উপর অবৈধ পন্থায় অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাটাই ঘুষ। কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী তার দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়মিত বেতন/ভাতা পাওয়া সত্ত্বেও যদি বাড়তি কিছু অবৈধ পন্থায় গ্রহণ করে তাহলে তা ঘুষ হিসাবে বিবেচিত হয়।

আর এই ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া এখন আমাদের দেশে ‘স্বাভাবিক’ বিষয়। কিন্তু ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়া হারাম। কিন্তু যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন তাদের বেতনটাও কি হারাম? হাদিসে আলোকে ডেইলি বাংলাদেশের আজকের আয়োজনে থাকছে এই বিষয়ে আলোচনা।
মূলত ঘুষ দেয়া ও নেয়া হারাম। হাদিসে আছে, ‘আল্লাহর রাসূল (সা.) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহণকারী উভয়কেই অভিসম্পাত করেছেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস নং : ৩৫৮২)

তবে কেউ যদি বাস্তবেই চাকরির যোগ্য হয় এবং (ঘুষ প্রদান হারাম হওয়া সত্ত্বেও) ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়। আর পরে সে যদি যথাযোগ্য দক্ষতা ও নিপুণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে এভাবে চাকরি নেয়া অবৈধ ও গোনাহ হলেও বেতন হালাল হবে। কিন্তু ঘুষদাতা যদি কর্মক্ষেত্রে অযোগ্য হয় এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার জন্য ওই চাকরিতে থাকা বৈধ হবে না। আর ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করে বেতন নেয়াও বৈধ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ১৩৩৭)

 
হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়া জায়েজ নয়। এভাবে চাকরি নিলে ঘুষ দেয়ার কারণে কবিরা গুনাহ হয়, আবার ঘুষ গ্রহণের কারণেও বড় গুনাহে লিপ্ত হয়। অন্যদিকে ঘুষদাতা কর্মের অযোগ্য হলে অন্য যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর অধিকার নষ্ট করার গুনাহও হয়।