বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিশ্ব ইজতেমা ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৫:২২ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

আগামী ১৫, ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর টঙ্গীতে একদফায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ইজতেমা সংক্রান্ত একটি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। ইজতেমার তারিখ চূড়ান্ত করতে এ নিয়ে বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে এ বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইজতেমার তারিখ নির্ধারণে আজকের বৈঠকটি হয়েছে। গতকালও বৈঠক হয়েছিল। বেশকিছু দিন যাবৎ দুটি গ্রুপের মধ্যে কিছুটা ঝামেলা হচ্ছিল। গতকালের বৈঠকে সবার সম্মিলিত চেষ্টায় তাদের এক করতে পেরেছি। এবার বিশ্ব ইজতেমা এক দফায় হবে এবং একই জায়গায় হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ১৫, ১৬ এবং ১৭ তারিখে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঠিক করা হয়েছে। তাবলীগ জামায়াতের দুই পক্ষই এতে সম্মতি দিয়েছে। ফলে এ নিয়ে দৃশ্যমান দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে।

এদিকে, এবারের ইজতেমায় দিল্লীর তাবলীগপন্থী নেতা মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও তার অনুসারীদেরও যোগদানে কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি। তবে কোনো পক্ষ যদি এরপরও ইজতেমায় অংশ না নেয়, তা তাদের একান্তই নিজস্ব ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠক সম্পর্কে শেখ আব্দুল্লাহ আরো বলেন, সভায় প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবসহ দুই গ্রুপ থেকে দুজন করে মোট চার জন উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে দুই পক্ষ থেকে দুটো তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। এতে একদল ৮ তারিখ এবং অপর দল ২২ তারিখের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু সবশেষে আমরা অভিন্ন তারিখ নির্ধারণ করতে পেরেছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

তাবলীগ জামাতের অন্যতম শীর্ষ ধর্মীয় সম্মেলন এই ইজতেমা কেন্দ্র করে সার্বিক দিক থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

ইজতেমায় নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, প্রতি বছর আমরা কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিই। সম্পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থায় আমাদের সবগুলো বাহিনী সচেষ্ট থাকে। প্রয়োজন বিশেষে সেনাবাহিনীও সহযোগিতা করে থাকে, সেটা থাকবে। বিশ্ব ইজতেমা যাতে সুন্দরভাবে হয়, প্রতিবারের মতো আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্ব নেবে।