তুরস্কে বার্নাবাসের বাইবেলে শেষ নবী আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী
ডেস্ক রিপোর্ট
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:০৬ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার এথনোগ্রাফিক মিউজিয়ামে যিশু খ্রিস্টের বারো (হাওয়ারী) শিষ্যের একজন সেন্ট বার্নাবাস রচিত হারিয়ে যাওয়া বাইবেলের একটি দুর্লভ পান্ডুলিপি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। প্রায় দুই হাজার বছরের পুরাতন চামড়ার বাধাই করা বৃহদাকার এই পান্ডুলিপিটি সোনালী কালিতে সম্পূর্ণ হাতে লেখা।
বার্নাবাসের এই বাইবেলে যিশুর ক্রুশবিদ্ধকরনের কাহিনীকে প্রত্যাখান করা হয়। বাইবেলের এই সংস্করণে বরং বলা হয়, ঈশ্বর যিশু খ্রিস্টকে জীবিত অবস্থায় আকাশে উঠিয়ে নেন এবং তার পরিবর্তে বিশ্বাসঘাতক জুদাসকে নিয়ে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়।
একই সাথে বাইবেলের এই সংস্করণে বলা হয়, যিশু খ্রিস্ট কোনক্রমেই ঈশ্বরপুত্র নন এবং তিনি ঈশ্বরের একজন বার্তাবাহক মাত্র। যিশুর ঈশ্বরত্ব প্রচারকারী সেন্ট পলকে এই পান্ডুলিপিতে ভন্ড ও প্রতারক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
যিশু খ্রিস্টের মাতৃভাষা তথা সিরিয়াক ভাষায় লেখা বাইবেলের এই সংস্করণে তার প্রাথমিক শিক্ষা ও রাসূল মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনের ভবিষ্যতদ্বানী করা হয়েছে।
২০০০ সালে বাইবেলের এই পান্ডুলিপিটি তুর্কি পুলিশ ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এক দল প্রত্নতত্ত্ব চোরাকারবারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আঙ্কারার রাষ্ট্রপতির বাসভবনের জাস্টিস হলে এই পান্ডুলিপিটি সংরক্ষিত করে রাখা হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালে তা এথনোগ্রাফিক মিউজিয়ামে স্থানান্তর করা হয়।
বার্নাবাস যিশু খ্রিস্টের কাছ থেকে সরাসরি দীক্ষাপ্রাপ্ত একজন অনুসারী এবং তিনি যিশু খ্রিস্টের উর্দ্ধারোহনের পূর্ব পর্যন্ত তার সাথে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সারাজীবন যিশুর শিক্ষার প্রচার করেন।
৩২৫ ঈসায়ীতে নিকা সম্মেলনে যিশুর ঈশ্বরত্ব ধারণা সাধারণভাবে গৃহিত হওয়ার পর যিশুর ঈশ্বরত্ব ধারণা বিরোধী অন্যান্য বাইবেলের সাথে সাথে বার্নাবাসের বাইবেলটিও পরিত্যাক্ত হয়। বর্তমানে অস্ট্রিয়ান ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত একটি ইতালিয় অনুবাদ ছাড়া বাইবেলটির আর কোন পান্ডুলিপির অবস্থানের সন্ধান জানা যায়নি।
ইসলাম ধর্মে যিশু খ্রিস্ট হযরত ঈসা (আ.) হিসেবে পরিচিত। মুসলমানরা তাকে আল্লাহর পুত্র নয় বরং আল্লাহর প্রেরিত একজন রাসূল হিসেবে জানে এবং বিশ্বাস করে, আল্লাহর কুদরতে অলৌকিকভাবে হযরত মারইয়াম (আ.) এর গর্ভে তাঁর জন্ম হয়েছে।