সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সূরা ইখলাস, কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান

নিউজ ডেক্স

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৫২ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

সূরা ইখলাস মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১২ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৪টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। সূরা ইখলাস মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটিকে ইসলামের শেষ পয়গম্বর মুহাম্মদ (সাঃ) বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। 

 

তাৎপর্যের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই আয়াতে আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কুরআনের অন্যতম ছোট একটি সূরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। এই সূরাটি কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।

সুরা ইখলাস:
আ’উযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজীম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
‘ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ।
আল্লাহুস সামাদ।
লাম ইয়ালিদ, ওয়া লাম ইয়ুলাদ।
ওয়া লাম ইয়াকুল লা হু কুফুয়ান আহাদ।’

 

অর্থ:
বলুন, তিনিই আল্লাহ, যিনি এক।
আল্লাহ, তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি জন্ম দেন নাই, এবং (তাঁকে) জন্ম দেয়া হয় নাই।
এবং তাঁর সঙ্গে তুলনীয় কেহই নাই।

আল্লাহর একত্বের ব্যাপারে কয়েকটি উদাহরণ নেয়া যাক-
১। তাঁর সত্ত্বায় তিনি একক। কোনো অংশীদারও নেই, কোনো আত্মীয়ও নেই।
২। তাঁর স্বাভাবিক গুণাবলিতে তিনি একক। তিনি কীভাবে কাজ করেন তা কারো পক্ষে দেখা শোনা বা জানা সম্ভব হয়না।
৩। অধিকারের ক্ষেত্রে তিনি একক। ইবাদত পাওয়ার অধিকার শুধু তাঁরই।
৪। ক্ষমতা ও শক্তি প্রয়োগে তিনি একক। তিনি যা চান তা করার ক্ষেত্রে কোনো কিছুই বাধা হতে পারে না।

মহান আল্লাহ তায়ালা প্রয়োজনশূণ্য। কাউকেই তাঁর প্রয়োজন নেই। কিন্তু সকলেরই তাঁকে প্রয়োজন। সমস্ত সৃষ্টিকূল নিজেদের সকল প্রয়োজনে তাঁর মুখাপেক্ষী। যেমন আমরা ইবাদত না করলে তাঁর কিছুই যায় আসে না। বরং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে আমরা ইবাদত করি।

 

আল্লাহ তায়ালা কাউকে জন্ম দেননি। তেমনি, তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। তাঁর কোনো সঙ্গীনীও নেই। তিনিই সকল কিছুর স্রষ্টা। তিনি কোটি কোটি বছর আগেও যেমন ছিলেন, ভবিষ্যতেও তেমনই থাকবেন।

কোনো কিছুই তাঁর সাথে তুলনীয় নয়। কেউ তাঁর সদৃশ্য বা সমতুল্য নেই, না তাঁর নামে, না তাঁর গুণাবলিতে এবং না তাঁর কর্মক্ষেত্রে। তাঁর কোনো আকার নেই। তাঁকে উপলব্ধি করার জ্ঞানও তাঁরই দেয়া। 

সামগ্রিকভাবে, সুরা ইখলাস হলো আল্লাহকে চেনার কষ্টি পাথর। কেউ যদি দাবী করে যে সে আল্লাহ, তাকে এই সুরার আলোকে মিলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে। যেমন এক সময় দাজ্জাল আসবে এবং খোদায়ী দাবী করবে। তার বিভিন্ন ধরণের ক্ষমতা দেখে অনেকে বিশ্বাসও করবে। তখন এই সুরার মাধ্যমে যাচাই করা হলেই সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ  হবে। দাজ্জালকে যদি খেতে দেখা যায় তবে দাজ্জাল স্বয়ংসম্পূর্ণ বা প্রয়োজনশূণ্য নয়, ইত্যাদি।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর আয়াত বোঝার মাধ্যমে মনোযোগের সঙ্গে প্রতিটি নামায আদায় করার তওফিক দিন। আমীন।