লাল সবুজের বিদ্যাপীঠ
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো একেকটি যেন লাল-সবুজে মোড়ানো বাংলার বিজয় নিশান। বিজয়ের মাসে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো দৃষ্টিনন্দন স্কুলগুলো উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে শিশুদের উপহার দেয়া হয়।
গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে এ কর্মসূচি গৃহীত হয়। শিশুদের স্কুলগামী করা, ঝরে পড়া রোধ, জাতীয় পতাকা ও সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে হাতেখড়ি দেয়ার লক্ষ্যে এ ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়।
উপজেলার ১৫৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব ভবনেই জাতীয় পতাকার চিত্র মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পুরো স্কুল ভবনটিই যেন একেকটি লালসবুজের বাংলাদেশ। কোনো কোনো স্কুলের ভেতরের দেয়ালেও একইভাবে মনোরম চিত্রে শোভায়িত করা হয়েছে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের চিত্রকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আঞ্জু আনোয়ারা ময়না বলেন, এটি একটি মডেল। লাল সবুজ পতাকায় মোড়ানো ভবন মানেই সেটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এজন্য কাউকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুঁজে বের করতে কষ্ট করতে হয়না।
তাছাড়াও প্রথম শ্রেণীতে পড়া একটি শিশু এখন সহজেই জাতীয় পতাকা চিনতে পারে। স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে সে স্বাচ্ছন্দবোধ করে। লাল সবুজকে মন থেকে সে ভালোবাসতে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে দারুন পছন্দ করে। জাতীয় পতাকা, সঙ্গীত আর মুক্তিযুদ্ধ তার হৃদয়ে একাকার হয়ে যায়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম রুমি বলেন, এ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৭ হাজার শিশু পড়ালেখা করে। এসব শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ শেখানোর পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিদ্যালয়কে শিশুদের জন্য সেকেন্ড হোম করার চিন্তা থেকেই ‘এক্সিল্যান্ট স্কুল’ নামে এ ব্যতিক্রমধর্মী প্রয়াস নেয়া হয়। এতে সুফলও মিলছে।