চাঁদের সঙ্গে ভাব করে নিও
ধর্ম ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:২৯ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত হচ্ছে চাঁদের ওঠানামা। আকাশে যখন নতুন চাঁদ হেসে ওঠে, এই দোয়াটি পড়ে তার সঙ্গে তুমি ভাব করে নিও হে আলী।
আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি খালাকানি
ওয়া খালাকাকা ওয়া কাদ্দারাকা
মানজিলা ওয়া জায়ালাকা
আয়াতাল্লিল আলামিন।
ভাবার্থ- সব প্রশংসা তারই। যিনি তোমাকে এবং আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আর তোমার জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন হরেক রকম প্রহর। তুমি তো মানুষের জন্য মনকাড়া আলো বিলিয়ে হয়েছ মস্ত এক নিদর্শন। মানুষ চাঁদকে যেমন ভালোবাসে নিজের চাঁদপানা মুখটি দেখতেও তেমনি পছন্দ করে। যখন তুমি আপন মুখটি আয়নায় দেখবে তখন তিনবার আল্লাহর নাম বলে এই দোয়াটি পড়ে নিও।
আল্লাহুম্মা কামা হাসসানতানি খালকি
ফা হাসসিন খুলকি।
ভাবার্থ- হে আমার আল্লাহ। যেমন সুন্দর করে গড়েছেন আমায়, তেমনই সুন্দর করুন চরিত্র আমার।
জগতে এমন কেউ আছে কি! যে ভয় পায় না কখনও? হে আলী, যে কোনো বিষয়ে ভয় পেলে এই দোয়াটি পড়ে ভয় কাটিয়ে নিও।
আল্লাহুম্মা বিহাক্কি মুহাম্মাদিও
ওয়া আলী মুহাম্মাদিন
ইল্লাফাররাজতা আন্নি।
ভাবার্থ- হে আমার আল্লাহ। মুহম্মদ এবং আলে মুহাম্মদের উসিলায় আমাকে হেফাজত করুন। আরও একটি বিষয় জেনে নাও
জগতে এমন কেউ আছে কি, যে সাপ দেখে ভয় পায় না। সাপ সম্পর্কে এবার কিছু শোন। যদি তোমার মালসামানার ভেতরেই কখনও কোনো সাপ এসে পড়ে ওকে তুমি হত্যা কর না। সাপ যদি তিনবার তোমার পথে বের না হয়, চতুর্থ বার বেরোলে অবশ্যই তাকে হত্যা করে ফেল।
আর যদি চলতি পথে সাপ দেখ সঙ্গে সঙ্গে তাকে হত্যা কর। কেননা জিনের সঙ্গে আমি চুক্তি করেছি, ওরা কখনও সাপের বেশ ধারণ করে ঘুরে বেড়াবে না।
হিজরি চতুর্থ শতকে লেখা আবু মুহাম্মদ হাসান হাররানির আরবি গ্রন্থ তুহাফুল উকুল। সে সময় অনেক খেটে-খুটে আহলে বাইত বিরোধীদের রক্তচক্ষু এড়িয়ে এ গ্রন্থে তিনি নবী পরিবারের উপদেশগুলো জড়ো করেছেন। শুধু যুগান্তর পাঠকের জন্য দুর্লভ এসব উপদেশ একটু একটু করে উপস্থাপন করছেন ব্যতিক্রমী লেখক ও কোরআন ভাবুক।