প্রচারে ব্যস্ত শামীম ওসমান, মাঠ ছাড়া ধানের শীষ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৪:৩৪ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) সিদ্ধিরগঞ্জে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার সমর্থকরা। প্রতিদিনই সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি ওয়ার্ডে কেন্দ্রভিত্তিক প্রচার চালাচ্ছেন তার কর্মী-সমর্থকরা।
শিডিউল করে শামীম ওসমানের পাশাপাশি প্রচার চালাচ্ছেন তার সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি। প্রতিদিনই তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাচ্ছেন এবং সেখানে ওযার্ডগুলোর বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত উঠান বৈঠকে স্বামীর নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি প্রচার চালাচ্ছেন নাসিকের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলররাও।
নাসিক ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় সব ওয়ার্ডেই রয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর। প্রতিদিনই কোনো না কোনো ওয়ার্ডে জণসংযোগে আসছেন শামীম ওসমান অথবা তার সহধর্মিণী লিপি ওসমান। শামীম ওসমান এবং লিপি ওসমান দুজনই বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরে আবারও এই সরকারকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানাচ্ছেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ এলাকার আরও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।
অপরদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের নির্বাচনী মাঠে এখন পর্যন্ত বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে প্রচারে দেখা যায়নি। এমনই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মাওলানা মনির হোসেন কাসেমীকেও দেখা যায়নি সিদ্ধিরগঞ্জে কোনো রকম প্রচার চালাতে। এ বিষয়ে জমিয়তে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলার সেক্রেটারি মাওলানা ফেরদৌস আমাদের সময়কে জানান, বর্তমানে আমাদের প্রচার চলছে ফতুল্লা থানা এলাকায়।
আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই এলাকায় আমাদের প্রচার চলবে। তার পরে আমরা সিদ্ধিরগঞ্জে প্রচার চালাব। বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিএনপির এই আসনের সব নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। খুব শিগগিরই আমরা তাদের নিয়ে আমাদের দলকে জয়ী করার লক্ষ্যে প্রচার শুরু করব।
প্রতিক বরাদ্দের পর সপ্তাহখানেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও সিদ্ধিরগঞ্জে কোনো প্রচার নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মূলত দুটি কারণে আমরা এখনো প্রচার শুরু করতে পারছি না। প্রথমত নারায়ণগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা এখনো চলছে। নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো তৈরি হয়নি। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট থেকে যে প্রার্থীকে মনোনীত করা হয়েছে, তিনি আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কাছেই ওইভাবে পরিচিত নন। যার কারণে দলের সবার সাথে তার পরিচিত হতে কিছুটা সময় লাগছে। আর এ কারণেই মূলত আমরা প্রচার শুরু করতে পারছি না।