শেখ হাসিনা ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে উন্নয়নের বাংলাদেশ করেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৬:৪০ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে উন্নয়নের বাংলাদেশে উত্তরণ ঘটিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি নাম দেয়া হয়েছিল এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গতিশীল নেতৃত্ব ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বে এ দেশটিকে সম্মানজনক অবস্থানে উন্নীত করেছেন।’
ঐতিহাসিক বাংলা ভাষা আন্দোলনের অমর সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্র“য়ারি’-এর গীতিকার ও প্রখ্যাত লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। সোমবার ঢাকায় প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
অর্থনীতি, অবকাঠামো এবং সামাজিক খাতসহ প্রধান প্রধান খাতগুলোতে ব্যাপক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলোর সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আমলে অর্জিত হয়েছে। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, এসব খাতের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় পাকিস্তানসহ প্রতিবেশীদের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
লন্ডনের ব্যাডেন পাওয়েল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রূচি ঘনশ্যাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফসহ জ্যেষ্ঠ ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরা ও টাওয়ার হ্যামলেটের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা তাসনিম মুনা।
এর আগে হাইকমিশন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদরা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বাণী পড়ে শোনানো হয়।
আলোচনা সভার পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ : বার্থ অব এ নেশন, টাইমলাইন ১৯৫২-১৯৭১’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।