বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

২০২২ সালে উত্তরা-মতিঝিল মাত্র ৩৮ মিনিটে

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

আর স্বপ্ন নয়! আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল (ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট)। সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম এটি। রাজধানির উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলমান এই মেট্রোরেলের কাজ ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে জানা গেছে। তাই রাজধানীবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের সুযোগ সুবিধা পেতে আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এটি চালু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পৌছাতে মাত্র ৩৮ মিনিট সময় লাগবে। 

 

দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে মেট্রোরেলের কাজ। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উড়ালপথ এবং স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর। সারিবদ্ধভাবে দৃশ্যমান হয়েছে সুউচ্চ মেট্রোরেল পিলার। আর এসব পিলারের উপরে বসছে স্প্যান। এ স্প্যানের উপরে বসবে ব্যালাস্টলেস মেট্রোরেল ট্র্যাক। 

সরেজমিনে- আগারগাঁও থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত সমস্ত পিলার শতভাগ নির্মাণ করা হয়েছে। শেওড়াপাড়ায় ৮টি পিলারের উপরে বসেছে স্প্যান। এক পিলার থেকে অন্য পিলার পর্যন্ত মোট ১২টি ছোট ছোট স্প্যান স্লাইচ ব্যবহার করা হচ্ছে। মেট্রোরেলের প্রতিটি পিলারের ব্যাস দুই মিটার, ভূগর্ভস্থ অংশের ভিত্তি তিন মিটার। অন্যদিকে মাটি থেকে পিলারের  উচ্চতা ১৩ মিটার। একটি স্তম্ভ থেকে আরেকটির দূরত্ব ৩০ থেকে ৪০ মিটার। এক পিলার থেকে অন্য পিলারে বসছে স্প্যান। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, শেওড়াপাড়া থেকে আগারগাঁও পরিকল্পনা কমিশনের দ্বিতীয় গেট পর্যন্ত পিলার নির্মাণ কাজ শেষ। এখন শুধু স্প্যান বসানো হবে। যেখানে পিলার নির্মাণ গ্যাপ রয়েছে সেখানে স্টেশন নির্মাণ পরিকল্পনার জন্যই রাখা হয়েছে।

 

শেওড়াপাড়া থেকে মিরপুর-১০ নম্বরে অধিকাংশ স্থানে পিলার নির্মাণ কাজ শেষের পথে। মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের পাশেই নির্মিত হচ্ছে মেট্রোরেল স্টেশন। মেট্রোরেলের চূড়ান্ত রুট অ্যালাইনমেন্ট হলো- উত্তরা তৃতীয় ধাপ-পল্লবী, রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে (চন্দ্রিমা উদ্যান-সংসদ ভবন) খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট-সোনারগাঁও হোটেল-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। এ রুটের ১৬টি স্টেশন হচ্ছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, আইএমটি, মিরপুর সেকশন-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নয়টি স্টেশন নির্মিত হবে। তিনটি থাকবে উত্তরায়, দুটি মিরপুরে ও পল্লবী, কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া ও আগারগাঁওয়ে একটি করে স্টেশন হবে।

মাথার উপরে মেট্রোরেল স্প্যান স্থাপনে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তি। দ্রুতই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া আশা করছে তারা। এদিকে ২০২২ সালের মধ্যেই এর কাজ শেষ করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

সোমবার বিকেলে হিতোশি হিরাতার নেতৃত্বে তিন সদস্যের জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা)  একটি প্রতিনিধি দল পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে জাইকার প্রতিনিধিরা পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে এ কথা জানান।