মহানবী (সা.) গোলাম-কর্মচারীদের প্রতিদিন সত্তুর বার মাফ করার নির্দ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার
একদা হজরত আবু বরক (রা.) কোনো এক কারণে তার গরীব আত্মীয় মিসতাহ ইবনে উসাসা (রা.)-কে দান না করার কসম করলেন। ওই মিসতাহ তার কাছেই থাকতো। তার অর্থেই লালিত পালিত হতো।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার কাছে এই বিষয়টি ভালো লাগেনি। সঙ্গে সঙ্গে আয়াত নাযিল করে আচরণের মাঝে সংশোধনী আনার হুকুম দিলেন। মহান আল্লাহ বলেন,
وَلَا يَأْتَلِ أُولُو الْفَضْلِ مِنْكُمْ وَالسَّعَةِ أَنْ يُؤْتُوا أُولِي الْقُرْبَى وَالْمَسَاكِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلْيَعْفُوا وَلْيَصْفَحُوا أَلَا تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ
তরজমা : তোমাদের মধ্যে যারা অর্থসম্পদ ও স্বচ্ছলতার অধিকারী তারা যেন এরূপ কসম না করে যে, আত্মীয়স্বজন, অভাবগ্রস্ত ও আল্লাহর পথে হিজরতকারীদের কিছু দেবে না। তারা যেন ক্ষমা করে ও ঔদার্যতা প্রদর্শন করে। তোমরা কী কামনা করো না যে, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করেন? আল্লাহ তায়ালা অতিক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা: নুর, আয়াত: ২২)
আয়াতে প্রথম যে বিষয়টি ফুটে ওঠেছে, আত্মীয়-স্বজন, অভাবী দরিদ্র ও হিজরতকারীদের কিছু দান না করার শপথ না করা সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন নিষেধসূচক শব্দ (ওয়ালা ইয়াতালি) ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল, তারা যেন রাগ বা অভিমান করে আত্মীয়-স্বজন, অভাবী দরিদ্র ও হিজরতকারীদের কিছু না দেয়ার শপথ না করে। কারণ ভুল-ভ্রান্তি মানুষই করে, ফেরেশতারা ভুল করে না। মানুষ ভুল করলে তার ক্ষমার রাস্তাও তিনি বাতলে দিয়েছেন। কোনো অপরাধকারী অপরাধ করার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ পাক তাতে মহাখুশি হন। তাই তো পবিত্র কোরআনের অসংখ্য-অগণিত জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে আল্লাহ পাক গুনাহ ক্ষমাকরী, তওবা কবুলকারী, মহাপরাক্রমশালী, শাস্তিদাতা, সর্বময় ক্ষমতার মালিক। মহান রাব্বুল আলামিন উক্ত আয়াতে বান্দাকে ক্ষমা করার নির্দেশ করছেন।
বিজ্ঞজনরা বলে থাকেন, ‘ক্ষমা করা মহত্তের গুণ। যিনি ক্ষমা করতে জানেন, তিনি বড় মনের অধিকারী হয়ে থাকেন’। আয়াত ও তার পরবর্তী আলোচনা থেকে একথাটি আমরা বুঝলাম ক্ষমা না করার কোনো ফজিলত নেই। তবে করার ফজিলত প্রচুর। কারণ ক্ষমার গুণটি মহান আল্লাহ তায়ালার। এই মহান গুণটি যে আয়ত্ব করলো সেতো আল্লাহর গুণই আয়ত্ব করলো। তাকে তো আল্লাম করে দিবেনই, সঙ্গে সঙ্গে আরো মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। হাদিস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
رحم الله رجلا سمحا إذا باع وإذا اشترى وإذا اقتضى
তরজমা: ওই ব্যক্তির ওপরপর খোদার রহমত বর্ষিত হোক, যে বক্তি ক্রয় বিক্রয় ও পাওনা ফিরে পেতে বিনম্র ও ক্ষমাশীল হয়’ (বুখারী : ২/৭৩৩)
আমাদের মাঝে এমন অনেকই হয় যে, পাওনাদাররা তার ঋণ পরিশোধ করতে দেরি করে এবং দেরি করার কারণও স্পষ্ট যে, তার আর্থিক সমস্যা প্রবল। এমন অবস্থায় ক্ষমা করা অর্থাৎ তাকে চাপাচাপি না করা মহৎ একটি গুণ। যে এই মহৎ গুণটি নিজের মাঝে প্রতিষ্ঠা করতে পারে আল্লাহ তার ওপর শান্তির ফয়লাসা করেন।
সূরা আলে ইমরানে রয়েছে,
الَّذِينَ يُنْفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
অর্থাৎ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও, যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও জমিন, যা তৈরি করা হয়েছে পরহেজগারদের জন্য। যারা সচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষকে ক্ষমা করে, বস্তুত আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকেই ভালোবাসেন।’ (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৪)
عن عَبْد اللَّهِ بْن عُمَرَ قال: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَمْ نَعْفُو عَنِ الْخَادِمِ؟ فَصَمَتَ، ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِ الْكَلَامَ، فَصَمَتَ، فَلَمَّا كَانَ فِي الثَّالِثَةِ، قَالَ: اعْفُوا عَنْهُ فِي كُلِّ يَوْمٍ سَبْعِينَ مَرَّةً
তরজমা : হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, এক লোক এসে রাসূলুল্লাহকে (সা.) বললো আমাদের গোলাম কর্মচারীরা তো ভুলত্রুটি করে থাকে; তাদেরকে আমরা কতবার ক্ষমা করবো? উত্তরে রাসূল (সা.) কী না বলে চুপ রইলেন। লোকটি আমার প্রশ্ন করলো। এবারও রাসূল (সা.) চুপ রইলেন। লোকটি যখন তৃতীয়বার প্রশ্ন করলো। তখন রাসূল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
اعْفُوا عَنْهُ فِي كُلِّ يَوْمٍ سَبْعِينَ مَرَّةً
অর্থাৎ প্রতিদিন তাকে সত্তর বার মাফ করে দিবে’ (আহমদ : ৫৬৩৫)।
এবার শুনুন রাসূলুল্লাহ এর দশ বছরের খাদেম অন্যতম সাহাবী হজরত আনাস (রা.) কী বলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) এর চরিত্র বিষয়ে। হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি দশ বছর রাহমাতুল্লিল আলামিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমত করেছি। তিনি কখনো আমাকে বলেননি যে, এই কাজটি কেন এভাবে করেছো বা কেন এইভাবে করোনি।’ হজরত আনাস (রাযি.) আরো বলেন, পরিবারের কেউ যদি আমাকে কখনো কিছু বলতে চাইতো নবীজি (সা.) বলতেন ওকে বলে কী হবে? তাকদিরে যা আছে তাই তো হবে। এভাবে নবীজি (সা.) সবাইকে ক্ষমা করার তালিম দিতেন।
মহান আল্লাহ রাবুল ইজ্জত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্পেশাল আদেশ দিল,
ولا تدفع السيئة بالسيئة ولكن يعفو ويصفح
অর্থাৎ অন্যায়ের মাধ্যমে কোনো অন্যায় বা মন্দ প্রতিহিত করো না, বরং ক্ষমা প্রদর্শন করো এবং (অন্যায়কারীকে) উপক্ষা করে যাবে’ (বুখারি : ৪৮৩৮)
হজরত রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামদের ক্ষমা ও মার্জনা করার তরিকা শিখিয়ে দিয়েছেন ও কেয়ামত পর্যন্ত আগত উম্মতের জন্য এ ব্যাপারে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) দানের ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন প্রচুর। তাই তো সাহাবীদের মাঝে ক্ষমার গুণ ছিল পূর্ণমাত্রায়। ক্ষমার ব্যাপারে উৎসাহিত করার দুয়েকটি বাণী শুনি রাসূল (সা.) এর মুখেই।
وعن أبي هُريرة : أَنَّ رسولَ اللَّه ﷺ قَالَ: مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ، وَمَا زَادَ اللَّهُ عَبْدًا بِعَفْوٍ إِلَّا عِزًّا، وَمَا تَوَاضَعَ أَحَدٌ للَّهِ إِلَّا رَفَعَهُ اللَّهُ ، رواه مسلم.
অর্থাৎ ‘দানে সম্পদ কমে না, (বরং দানের মাধ্যমে আল্লাহ সম্পদ বাড়িয়ে দেয়) ক্ষমা বান্দার সম্মান বাড়িয়ে দেয়, আর আল্লাহর সন্তুষ্ঠির জন্য যে ব্যক্তি নরম আচরণ করে (নিজেকে ছোট করে) আল্লাহ তাকে উচ্চ আসন দান করে’ (মুসলিম : ২৫৮৮)
وَلاَ يَعْفُو عَبْدٌ عَنْ مَظْلَمَةٍ إِلاَّ زَادَهُ اللَّهُ بِهَا عِزًّا يَوْمَ الْقِيَامَةِ
অর্থাৎ ‘যে বান্দা অত্যাচারিত হয়েও জালিমকে ক্ষমা করে দেয়, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সম্মানিত করবেন’ (আহমদ : ১/১৯৩)
আমাদের সমাজের অবস্থা কী? যে কেউ কোনোভাবে কারো ওপর কর্তৃত্বশীল হলে। তার অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যায়। সে যেন হয়ে যায় আসমানের তারকা তার কর্মচারী ও অধীনস্থদের ভুলের কনো ক্ষমা করে না। মালিকরা মনে করে কর্মচারীগণ তার কেনা গোলাম; তাই তার অন্যায় বা ভুলকে ক্ষমা করে না, ক্ষমা করলে তা মালিকানার সম্মান নষ্ট হয়ে যায় এমন ভাবে। উস্তাদরাও ছাত্রদের ভুলগুলো ক্ষমার করতে পারে না। ছাত্রদের সঙ্গে যা তা ব্যবহার শুরু করে। সমাজের সর্বক্ষেত্রে এই প্রবণতা দেখা যায় যে, ভুলের কোনো ক্ষমা নেই। আর এই ‘ক্ষমা নেই’ এর প্রভাব থেকে দুষ্টু চিন্তার উদ্ভব ঘটে। যার ফলে সমাজে অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্ম দেয়।
রাসূল সাহাবা তাবেয়ীন তাবেতাবেয়ীনের যুগেও ক্ষমা প্রদর্শনের গুণ ছিল। একারণে সমজে ছিল শান্তি ও সুখ। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর অপূর্ব এক ক্ষমার ঘটনা উল্লেখ করে প্রবন্ধ শেষ করছি। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর কথা কার না জানা। যে ছিল মদিনার মোনাফেকদের নেতা, আম্মাজান হজরত আয়েশা (রা.) এর ওপর মিথ্যা অপবাদ রটনাকারী। এই আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর মৃত্যুর সময়কার ঘটনা: আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের ছেলের নামও আব্দুল্লাহ, তিনি ছিলেন পাক্কা মুসলমান। বাবার মৃত্যুশয্যার সঙ্গীন মুহুর্তে ছেলে আবদুল্লাহ দৌড়ে এলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে। লাজ-লজ্জার কথা না ভেবে, চোখে জল নিয়ে আবদুল্লাহ রাসূলের কাছে আবেদন জানালেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! (সা.) আপনার মুখের খানিকটা উচ্ছিষ্ট পানি দেবেন? হয়তো আপনার উচ্ছিষ্ট পানির বরকতে আমার আব্বার গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।’
আল্লাহর রাসূল দেরি করলেন না, তখনই নিজের মুখের বরকতময় উচ্ছিষ্ট পানি আবদুল্লাহর হাতে দিয়ে দিলেন। এমন কট্টর মুনাফেককেও আল্লাহর রাসূল (সা.) মাফ করে দিলেন। শুধু তাই নয়, আরো শুনুন- অতপর আবদুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের মৃত্যু হয়। ছেলে আবদুল্লাহ এক বুক দুঃখ নিয়ে আবার দৌড়ে এলেন রাসূল (সা.) এর কাছে। বুকে দুঃখ, চোখে মুখে অনুশোচনার লজ্জা, বাবার পাপের ভার যেন তার বুকে ভারী পাথর হয়ে বসে আছে। তবু সাহস করে রাসূল (সা.) কাছে আবেদন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! (সা.), আব্বা মারা গেছেন। আপনার গায়ের একটা জামা দেবেন, আব্বার কাফন দিবো। হয়তো আপনার জামার বরকতে তার কবরের আজাব মাফ হয়ে যাবে।’
আল্লাহর রাসূল (সা.) দেরি করলেন না, তখনই নিজের জামাটি আবদুল্লাহর হাতে দিয়ে দিলেন। ভাবেনতো সে ছিল মুনাফেক ও কট্টর শয়তান। ক্ষমা দেখালেন। এখনই আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের জানাজা পড়ানো হবে। এমন সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন সেখানে। ইবনে উবাইয়ের ছেলে আব্দুল্লাহ রাসূল (সা.)-কে দেখে দৌড়ে এসে লজ্জামিশ্রিত কণ্ঠে মিনতি করে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! (সা.), আব্বার জানাজাটা আপনি পড়াবেন?’ রাসূল একবারও চিন্তা করলেন না, একবারও ভাবলেন না আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের অতীত অপকর্মের ব্যাপারে, সঙ্গে সঙ্গে বলে দিলেন, ‘হ্যাঁ, কেন নয়? অবশ্যই তার জানাজা পড়াবো।’ রাসূল (সা.) সাহাবাদের জানাজা নামাজের কাতার সোজা করতে বললেন। এই হলো ক্ষমা প্রদর্শন।
প্রসিদ্ধ ঘটনা মতে, রাসূল (সা.)-কে হত্যা করার নিয়তে এক ব্যক্তি আসলো। তরবারি নিয়ে ঘুমন্ত রাসূল (সা.)-কে বললো হে মুহাম্মাদ! তোমাকে আমার থেকে কে বাঁচাবে? রাসূল (সা.) এর অবস্থা হালকা ও স্বাভাবিক। তিনি বললেন আল্লাহ! এই ভয়েই তার তরবারি হাত থেকে পড়ে গেছে। রাসূল (সা.) তরাবারি উঠালেন। এবার রাসূল (সা.) তাকে বলেন, এখন বলো তোমাকে কে বাঁচাবে? সে ছিল নিরুপায়। আল্লাহর রাসূল (সা.) তাকে ক্ষমা করে দিলেন।
ক্ষমাশীলতা লাভের উপায়:
চেহারা সব সময় হাস্যোজ্জ্বল রাখা। অধীনস্তদের সঙ্গে হাসি দিয়ে কথা বলা। যে বাব বার ভুল করে তাকে সুন্দরভাবে কাজ করা জন্য বলতে থাকা। শাস্তির হুমকি দেয়া। কঠোরতা পরিহার করা। সবার সঙ্গে হাসিরসিকতা করা। রাগ আসলে সঙ্গে বসে পড়া ও ওজু করা। ছোট বড় সকলের সঙ্গে নিয়মিত সালাম আদান প্রদান করা। হাদিয়া বা উপহার দেয়া। সবার সঙ্গে একসাথে খাওয়া দাওয়া করা। ভুলগুলো সহজ করে নেয়া; আর যেন ভুল না হয় সেইভাবে সুন্দর কথা বলে দেয়া। কারণ আল্লাহ তায়ালা মানুষের ওপর সহজ করেছেন, মানুষেরও উচিৎ অন্যের ওপর সহজ করা। কর্মচারী কর্মকর্তাগণও মালিক ও অফিসারদেরকে ক্ষমা করে দেয়া। কাজ এমনভাবে করা যাতে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
ক্ষমা করার উপকারিতা:
আল্লাহর গুণ নিজেরদের ভেতরে বসে যায়, আল্লাহ কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়া যায়। সকলের সঙ্গে মহব্বত ও ভালোবাসা গভীর হয়। নবীজি (সা.) এর সুপারিশ পাওয়া যায়। মুমিনের গুণাবলি অর্জিত হয়।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ পাক আমাদের সকলের ভেতরে ক্ষমাপ্রদর্শনের গুণটি পূর্ণমাত্রায় বসিয়ে দিন। আল্রাহুম্মা আমিন।