অবসরগুলো যেভাবে কাজে লাগাবেন
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রোববার
অবসর সময়ে আমরা বিভিন্নভাবে আল্লাহ তাআলার দেওয়া হায়াতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়ের অপচয় করি। যদি আমরা একটু সচেতন থাকি, তবে এই সময়ে আখেরাতের জন্য খুব ভালো একটা প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
এখন প্রশ্ন, ঐ সময়ে আমরা কি করতে পারি?
অবসর সময়ে অনেক কিছুই করা যায়...। এক্ষেত্র আমার কাছে কুরআন তেলাওয়াত করা সবচেয়ে বেশি প্রিয়। এই বর্তমান সময়ে আমাদের প্রায় সবার হাতেই একটি করে স্মার্ট ফোন আছে।
এখন আমরা যদি আমাদের মোবাইলে কুরআনের একটি অ্যাপ রাখি, তাহলে আমরা অবসর সময়ে খুব সহজেই কিছুক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করে নিতে পারি।
অবসর সময়গুলো কখন?
১. আমরা অনেক সময় গাড়ি/বিমান/জাহাজ ইত্যাদি যানবাহনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করি। এ সময় আমদের তেমন কোন কাজ থাকে না।
২. কোচিং/ক্লাসে গিয়ে দেখতে পেলেন যে, স্যার তখনও ক্লাসে আসেনি। এ সময় বন্ধুদের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলবেন কেন?
৩. আমরা ইন্টারনেটের পেছনে কত সময় ব্যয় করি, কখনো হিসাব করে দেখেছি? হয়ত অনেক সময় ব্যয় করছি যার কোন প্রয়োজন ছিল না।
৪. যখন অনেক বন্ধু একত্রিত হয়, তখন অনর্থক গল্প করে জীবনের কত সময় পার করে তার কি কোন হিসাব আছে?
৫. ক্রিকেট/ফুটবল খেলা দেখে বা খেলে আমরা কত সময় নষ্ট করেছি বা করছি। বলছি না খেলা যাবে না। কিন্তু এক খেলার পেছনেই অবসরের সময়গুলো শেষ করে দেওয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত?
৬. বন্ধু/বান্ধবীদের সঙ্গে অযথা আলাপচারিতায় কত সময় নষ্ট হচ্ছে... ইত্যাদি।
উপরে উল্লেখিত পয়েন্টগুলো একটু চিন্তা করলেই দেখতে পাবো আমাদের হায়াতের কত সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা আমরা অপচয় করে ফেলছি!
আচ্ছা, আমরা ঐ সময়ে কি একটু কুরআন তিলাওয়াত করতে পারি না? আখেরাতের জন্য কি একটু ভালো প্রস্তুতি নিতে পারি না? যদি না পারি, তবে বুঝতে হবে- আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের একজন, যার কথা আল্লাহ তাআলা কুরআনে উল্লেখ করেছেন-
وَالْعَصْرِ . إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ .
“সময়ের শপথ। নিশ্চয় সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।” –সূরা আসর: ১-২
কিন্তু আমাদের হওয়া উচিত সেই সকল লোকের মধ্য থেকে, যাদের কথা আল্লাহ এর পরের আয়াতটিতে বলেছেন,
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
“তবে সে সকল ক্ষতির মধ্যে নেই, যারা সৎকর্মশীল হয় এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সত্যের ও উপদেশ দেয় সবরের।” –সূরা আসর:৩