সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মসজিদ জাদুঘর বানাবে ইসরাইল

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রোববার

টাইবেরিয়াসের ঐতিহাসিক আল-বাহর মসজিদটি জাদুঘর বানাতে এর অংশ বিশেষ ধ্বসিয়ে দিয়েছে ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ, জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদপত্র আল-রিসালাহ।

 

এর মাধ্যমে ইসরাইল ২০০০ সালে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলী কর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি আবারও লঙ্ঘন করলো।

১৯৪৮ সালে অবৈধ দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরাইল ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ভূখন্ডের অসংখ্য মসজিদ, কবরস্থান এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করেছে। জাফা, লুদ, আল-রামলা, আসকালান এবং অন্যান্য বিভিন্ন শহরের অসংখ্য স্থাপনাকে বার, নাইট ক্লাব ও পার্কে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

আরব ৪৮ ডট কমের তথ্যানুসারে, ২০০০ সালে সম্পাদিত চুক্তি এর আগে অসংখ্যবার ইসরাইলী কর্তৃপক্ষের দ্বারা লঙ্ঘিত হয়েছে।

 

ইসরাইলের হাই কমিটি ফর আরব সিটিজেনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বারাকা বলেন, “আমাদের উচিত তাইবেরিয়াসে যাওয়া এবং পবিত্র এই স্থানটির অবমাননা বন্ধ করা যা মূলত শহরটির ফিলিস্তিনি চিহ্ন মুছে ফেলার হীন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পরিচালিত হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, ইসরাইলের আরব নাগরিকরা ইসরাইলের এধরনের কোন পদক্ষেপ মেনে নিবে না এবং তারা এই মসজিদ ও অন্যান্য পবিত্র স্থানের রক্ষণাবেক্ষণ করতে বদ্ধপরিকর।

আল-বাহর মসজিদটি ১৭৪৩ সালে টাইবেরিয়াসের মুসলিম শাসক উমর আল-যাহিরের হাতে নির্মিত হয়। লেক টাইবেরিয়াস বা (অপর নাম) গ্যালিলি সাগরের নিকটে মসজিদটির অবস্থান হওয়ার কারনে এর নামকরণ হয় ‘মসজিদ আল-বাহর’।

১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই মসজিদটি পরিত্যক্ত হয়। তখন থেকেই কোন মুসলিমকে এ মসজিদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।