বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ১০ ১৪৩২   ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

সৌরমণ্ডলে প্রচুর পানি ও খনিজ পদার্থের সন্ধান!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:৪৫ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার

সৌরমণ্ডলে পানি আর খনিজ পদার্থের অফুরন্ত ভাণ্ডারের খবর জানালেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম তাঁরা দেখালেন, যে পরিমাণে পানি রয়েছে আমাদের চার পাশের গ্রহাণুতে, তা দিয়ে অলিম্পিকের প্রায় দেড় থেকে পাঁচ লক্ষ সুইমিং পুল ভরিয়ে দেওয়া যাবে।

 

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমাদের আশপাশেই রয়েছে অফুরন্ত পানি ভরা এমন সর্বাধিক ৮০টি গ্রহাণু। খুব কম হলেও সেই সংখ্যাটা কিছুতেই নেমে যাবে না ২৬'র নিচে। চাঁদ থেকে পানি আনার চেয়ে অনেক সহজে পানি নিয়ে আসা যাবে ওই গ্রহাণুগুলো থেকে।

গবেষণাপত্রটি বেরিয়েছে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘জার্নাল অফ জিওফিজিক্যাল রিসার্চ’-এর ৬ ডিসেম্বর সংখ্যায়।

 

গবেষণা এও জানিয়েছে, চাঁদের থেকেও সহজে পৌঁছে যাওয়া যায় পানিতেপূর্ণ এমন ৩৫০টি থেকে ১ হাজার ৫০টি গ্রহাণু রয়েছে আমাদের আশপাশেই। যাদের বলা হয় ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট’ বা ‘এনইও’।

মূল গবেষক জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির অধ্যাপক অ্যান্ড্রু রিভকিন গবেষণাপত্রে লিখেছেন, ওই গ্রহাণুগুলোতে যে পরিমাণে খনিজ পদার্থ রয়েছে তা থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের করে আনা (নিষ্কাশন) সম্ভব। সেই খনিজ পদার্থ থেকে বের করে আনা যেতে পারে ৪০ হাজার কোটি থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি লিটার পানি।

পরে এও জানা গেছে, শুধু গ্রহাণুমণ্ডলেই নয়, আমাদের পৃথিবীর আশপাশেও রয়েছে এমন প্রচুর গ্রহাণু বা নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট। ১৯ হাজারেরও বেশি এমন গ্রহাণু এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে। কতটা পানি রয়েছে আমাদের কাছেপিঠে থাকা গ্রহাণুতে তার ধারণা নিতে ‘বেন্নু’ গ্রহাণুতে ইতিমধ্যেই মহাকাশযান ‘ওসিরিস-রেক্স’ পাঠিয়েছে নাসা। সেখান থেকে খনিজ পদার্থ তুলে নিয়ে আসার কথা নাসার মহাকাশযানের। 

রিভকিন গবেষণাপত্রে এও লিখেছেন, ওই গ্রহাণুগুলোতে রয়েছে লোহাসহ প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। আর সেগুলো রয়েছে লোহা ও অন্যান্য খনিজ পদার্থের অক্সাইড যৌগ হিসেবে।