মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আত্মার সাথে মুমিনের শিষ্টাচার

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৪:৩৬ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

একজন মুসলিম সর্বদা মনে মনে হিতোপদেশ এবং শিষ্টাচারের দিকগুলো স্মরণ করবে, যাতে করে নফস বা আত্মাকে পবিত্র ও উন্নত রাখতে পারে। নিজ আত্নাকে প্রবৃত্তির ও লালসার পেছনে ছেড়ে দিবে না, যাতে সে স্খলিত হয়ে যায় এবং অন্যায় করে।

যারা নিজেদের নফসের হিসাব নিজেরা রাখে এবং নফসের তদারকি করে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,

قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا

“সেই সফলকাম যে নফসকে পরিশুদ্ধ করেছে,আর সেই ক্ষতিগ্রস্ত যে আত্মাকে কলুষিত করেছে।” সূরা আশ-শামস : ৯-১০

মুসলিম মা’সুম তথা গুনাহমুক্ত নয়, বরং সে কখনো কখনো ভ্রান্তি ও গুনাহে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মুসলিম হিসেবে তাকে নফসের সাথে জিহাদ করতে হবে, যাতে সে অবাধ্য গুনাহগার হয়ে না যায়। যদি ও কখনো তার আত্মা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায়, তাহলে সে মুষড়ে পড়বে না। সে হতাশ হবে না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবে না। বরং সে আল্লাহর দরবারে ফিরে আসবে এবং দ্রুত তওবা করবে আর গুনাহের জন্য তাঁর নফসকে ভর্ৎসনা করবে। সম্ভব হলে নফসকে অনুমোদিত খাহেশ থেকেও বিরত রাখতে হবে, যাতে করে সে পরবর্তিতে কোন গুনাহের নির্দেশনা দিতে না পারে।

মনে রাখা দরকারতওবা তিনটি জিনিসকে শামিল করে:

১. গুনাহ থেকে ফিরে আসা।

২. গুনাহের কাজটির জন্য অনুশোচিত হওয়া।

৩. কৃতগুনাহের দিকে ভবিষ্যতে ফিরে না যাওয়ার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া।

যখন কোন মুসলিম সত্যিকারার্থে তওবা করে, আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন, তার গুনাহ ক্ষমা করে দেন, তার মন্দ কাজগুলো মিটিয়ে দেন তিনি বলেন :

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَصُوحًا عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُكَفِّرَ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ

“হে মুমিনগণ! তোমরা খালেসভাবে আল্লাহর কাছে তওবা কর সম্ভবত তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করে দিবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে যার তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত।” –সূরা আত-তাহরীম: ৮