বন্ধন ও মর্যাদার মানদণ্ড ইসলাম ও তাকওয়া
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৪:৩৯ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
إِذۡ جَعَلَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ فِي قُلُوبِهِمُ ٱلۡحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ فَأَنزَلَ ٱللَّهُ سَكِينَتَهُۥ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ وَعَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَأَلۡزَمَهُمۡ كَلِمَةَ ٱلتَّقۡوَىٰ وَكَانُوٓاْ أَحَقَّ بِهَا وَأَهۡلَهَاۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٗا
“যখন কাফিররা তাদের অন্তরে আত্ম-আহমিকা পোষণ করেছিল, জাহিলী যুগের আহমিকা। অতঃপর আল্লাহ তাঁর রসূল ও মুমিনদের উপর স্বীয় প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদের জন্যে সংযমের দায়িত্ব অপরিহার্য করে দিলেন। বস্তুতঃ তারাই ছিল এর অধিকতর যোগ্য ও উপযুক্ত। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।” -সূরা ফাতাহ :২৬
ইসলাম এসেছে অন্ধ বংশপ্রীতির বন্ধনকে বিশ্বাসের ভ্রাতৃত্ব এবং আল্লাহ তাআলার নির্দেশ মানা ও তাঁর সন্তুষ্টি প্রার্থনার দিক থেকে এক আল্লাহ তাআলার দাসত্বের বন্ধনে রূপান্তরের জন্য। এমন বন্ধন যার ভিত্তি কোনো রক্ত, বর্ণ বা জাতীয়তার ওপর নয়। এ হলো ঈমানের আত্মীয়তা এবং আকীদার বন্ধন। কারণ, ইসলাম চায় মানব হৃদয় কেবল এক আল্লাহর জন্যই নিবেদিত হোক। আল্লাহ ছাড়া অন্য সবার সম্পর্ক থেকে সে পবিত্র হোক। তার আত্মা হোক বর্ণবাদ, ভৌগলিক সীমারেখা ও জাতীয়বাদমুক্ত। এককথায় ইসলাম পরিপন্থী সব শ্লোগান ও সঙ্কীর্ণতা থেকে পবিত্র।
ইসলামে সকল বিভেদ ও ভৌগলিক কারণে গর্ব-আধিপত্যকে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। ব্যাবধান ও উঁচু-নিচুর সকল ভেদ রেখা তুলে দিয়ে তা কেন্দ্রিভুত করা হয়েছে কেবল একটি গুণের ওপর। আর তা হলো তাকওয়া। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّا خَلَقۡنَٰكُم مِّن ذَكَرٖ وَأُنثَىٰ وَجَعَلۡنَٰكُمۡ شُعُوبٗا وَقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوٓاْۚ إِنَّ أَكۡرَمَكُمۡ عِندَ ٱللَّهِ أَتۡقَىٰكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٞ
‘হে মানুষ, আমি তোমাদেরকে এক নারী ও এক পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছি আর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি। যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া সম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ তো সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।’ -সূরা হুজুরাত : ১৩