মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আপনিও হোন জান্নাতী প্রাসাদের গর্বিত মালিক!

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৬:০১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

মহান আল্লাহ তাআলা বলেন- “মুত্তাকীদেরকে যে জান্নাতের ওয়াদা দেয়া হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হল, তাতে রয়েছে নির্মল পানির নহরসমূহ, দুধের ঝর্ণাধারা, যার স্বাদ পরিবর্তিত হয়নি, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সুরার নহরসমূহ এবং আছে পরিশোধিত মধুর ঝর্ণাধারা। তথায় তাদের জন্য থাকবে সব ধরনের ফলমূল আর তাদের রবের পক্ষ  থেকে ক্ষমা...। –সূরা মুহাম্মাদ : ১৫

আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) কে জান্নাতের ঘরসমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,

“জান্নাতের একটি ইট রুপার অপরটি স্বর্ণের আর তার আস্তর হল, মিসক। আর তার সূরকী হল, মুণি মুক্তার পাথর। জান্নাতের মাটি হল, যাফরান। যে ব্যক্তি জান্নাতে একবার প্রবেশ করবে, সে জান্নাতের নেয়ামত ভোগ করতে থাকবে কখনো সে হতাশ হবে না, জান্নাতে চির কাল থাকবে তাতে সে কখনো মরবে না, তাদের কাপড় কখনো পুরাতন হবে না এবং তাদের যৌবন কখনো শেষ হবে না।” (তিরমিযি, হাদিস নং ২৫২৬, মুসনাদে আহমদ ৩০৫/২)

এমন নেয়ামতপূর্ণ জান্নাতের অধিকারী হতে কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত অনেক আমলের মাধ্যমে এর সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এতে কোন ধনী-গরিবের বিভেদ রাখা হয়নি। তন্মধ্য হতে দুটি আমল নিম্নে উল্লেখ করা হল- 

রাসূল (সা.) বলেছেন,

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে বারো রাকাত সুন্নত নামায রয়েছে। এগুলো হল, ফজরের ফরযের পূর্বে দুই রাকাত, যোহরের ফরযের পূর্বে চার ও পরে দুই রাকাত, মাগরিবের ফরযের পর দুই রাকাত ও ইশার ফরযের পর দুই রাকাত।

রাসূল (সা.) বলেন,

যে ব্যক্তি ফরযের সাথে সাথে নিয়মিত এই সুন্নত নামাযগুলো আদায় করবে, তার জন্য নিশ্চিতভাবে জান্নাতে প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে। (সহীহ মুসলিম, সহীহ আত তারগীব, ১/১৪০ পৃ)

রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন,

আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের প্রান্তে একটি বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে সঠিক যুক্তি থাকা সত্ত্বেও বিবাদে লিপ্ত হয় না। জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ি তার জন্য, যে কখনো ঠাট্টা করেও মিথ্যা বলে না। আর জান্নাতের ঊর্ধ্বাংশে একটি বাড়ি তার জন্য, যে নিজের চরিত্রকে সুন্দর করে। (আবু দাউদ ৪/২৫৩; হাদীস নং ৪৮০০)

রাসূল (সা.) এর কথা কখনই মিথ্যা হতে পারেনা। কিন্তু, আমাদের হাতের নাগালেই জান্নাতে নিজেদের জন্য প্রাসাদ তৈরির সুযোগ চলে যাচ্ছে আর আমরা তা অবহেলায় ছেড়ে দিচ্ছি।

আমরা যেনো আমাদের হাতের নাগালের এই সুযোগ কাজে লাগানোর মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয়পাত্রে পরিনত হতে পারি, আল্লাহ আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমীন।