পবিত্রতার প্রকারভেদ ও অদৃশ্য পবিত্রতা
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৬:২১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
শরীয়তের পরিভাষায় পবিত্রতা দুই প্রকার : দৃশ্য ও অদৃশ্য পবিত্রতা। দৃশ্যমান পবিত্রতা হলো, যা অযু, গোসল, তায়াম্মুম ইত্যাদির মাধ্যমে বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জন করা হয়।। এটি বিশুদ্ধ ঈমানের পরের একটি অঙ্গ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, الطُّهُوْرُ شَطْرُ الإِيْمَاْنِ “পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ”। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৩)
আর অদৃশ্য পবিত্রতা এমনই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস – যা থেকে পবিত্র না হলে ক্ষেত্রবিশেষ দৃশ্যমান পবিত্রতা কোনই কার্যকরী নয়। অদৃশ্য পবিত্রতা বলতে শির্ক ও সকল পাপ থেকে মুক্ত হওয়াকে বুঝানো হয়। শির্ক থেকে মুক্তি তাওহীদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এবং পাপ থেকে মুক্তি পুণ্যময় কর্মসম্পাদনের মাধ্যমেই সম্ভব। মূলতঃ অদৃশ্য পবিত্রতা দৃশ্যময় পবিত্রতার চাইতে অনেক অনেক গুণ বেশী গুরুত্বপূর্ণ। বরং বলতে হয় : শির্ক বিদ্যমান থাকাবস্থায় কোনোভাবেই শারীরিক পবিত্রতার্জন সম্ভবপর নয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন, إِنَّمَا ٱلۡمُشۡرِكُونَ نَجَسٞ
“মুশরিকরা একেবারেই অপবিত্র”। (সূরা তাওবাহ, আয়াত: ২৮)
আর রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, إِنَّ الْـمُؤْمِنَ لاَيَنْجُسُ
“ঈমানদার ব্যক্তি সত্যিকারার্থে কখনোই একেবারে অপবিত্র হতে পারে না”। (বুখারী, হাদীস নং ২৮৩; মুসলিম, হাদীস নং ৩৭১)
তাই প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য, নিজ অন্তরাত্মাকে শির্ক ও সন্দেহের পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করা। আর তা একমাত্র আল্লাহতে দৃঢ় বিশ্বাস, একনিষ্ঠতা ও তাওহীদ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সম্ভব। তেমনিভাবে নিজ অন্তঃকরণকে হিংসা-বিদ্বেষ, শত্রুতা, ফাঁকি-ধাপ্পাবাজি, দেমাগ-আত্মগরিমা, আত্মশ্লাঘা তথা আত্মপ্রশংসা এবং যে কোনো পুণ্যময় কর্ম অন্যকে দেখিয়ে বা শুনিয়ে করার প্রবণতা জাতীয় পাপ-পঙ্কিলতা থেকে নিজকে পরিচ্ছন্নকরণ প্রতিটি মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। আর তা একমাত্র সম্ভব সকল গুনাহ থেকে সত্যিকার তাওবার মাধ্যমে। পবিত্রতার দুটি প্রকারের এটিই হচ্ছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর অন্যটি হচ্ছে বাহ্যিক পবিত্রতা।