হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:৩৪ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার
হিজামা (কাপিং বা সিঙ্গা লাগানো) একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি। এ চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের শরীর সুস্থ হওয়া প্রাচীন কাল থেকেই প্রমাণিত। যেহেতু দূষিত রক্ত সহজেই বের হয়ে যায়। ওহীর মাধ্যমে আমাদের প্রিয় নবী সা. এ চিকিৎসার কার্যকারিতা সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। হাদীসগুলো পর্যবেক্ষণ করলে বুঝা যায়, বর্তমানের অনেক রোগ থেকে অতি সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। নিম্নে হাদিসগুলো উল্লেখ করা হলো:
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সূত্রে নবী করিম (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে নিহিত। এগুলো হলো- হিজামা করা , মধু পান করা এবং আগুন দিয়ে গরম দাগ দেওয়া। তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি।’ –সহিহ বোখারি: ৫৬৮১
হযরত আবদৃল্লাহ্ বিন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সা. বলেছেন, “হিজামাকারী কতইনা উত্তম লোক। সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।” সুনানে তিরমিযী, হাদীস নম্বর: ২০৫৩ রাসুল সঃ এর গৃহে বাসকারি সালমা রা. বলেন, “যখনই কেউ রাসুল সা. এর কাছে মাথা ব্যথার কথা বলতেন, তিনি তাদেরকে হিজামা (কাপিং) করার উপদেশ দিতেন।” [সহীহ সুনান আবু দাউদ (৩৮৫৮)]
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত রাসুল সা. তাঁর ঘোড়া থেকে খেজুর গাছের কান্ডের উপর পড়ে পায়ের পাতা স্থান চ্যূতি ঘটে। ওয়াকি রা. বলেন “রাসুল সা. হাড় ভাঙ্গা বা হাড় চ্যূতির জন্য তার পায়ের পাতায় হিজামা(কাপিং) গ্রহন করেছিলেন।” [সহীহ সুনান ইবনে মাজাহ (২৮০৭)]
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করেন যে, রাসুল সা. ইহরাম অবস্থায় একপাক্ষিক মাথা ব্যথার জন্য হিজামা(কাপিং) চিকিৎসা নিয়েছিলেন। [সহীহ আল বোখারী (৫৭০১)] আনাস ইবনে মালিক রা. বলেন যে, রাসূল (সা.) ঘাড়ের পাশে ও ঘাড়ের গোড়ায় ৩ বার হিজামা (কাপিং) করেছেন। [সহীহ সুনান আবি দাউদ (৩৮৬০), ইবনে মাজাহ (৩৪৮৩)]
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, রাসুল সা. তাঁর মাথায় হিজামা (কাপিং) নিয়েছিলেন। । [সহীহ আল বুখারী (৫৬৯৯)]
হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সা. বলেছেন, “খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম। এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বোধ ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৭
হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, “কেউ হিজামা করতে চাইলে সে যেন আরবী মাসের ১৭, ১৯ কিংবা ২১ তম দিনকে নির্বাচিত করে। রক্তচাপের কারণে যেন তোমাদের কারো মৃত্যু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৬
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, “আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে, হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর: ২০৫৩