সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত: নামাজ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ৬ মার্চ ২০১৯ বুধবার
ঈমান লাভের পর নামাজই হলো ঈমানদারের বাহ্যিক প্রমাণ। যে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করে সেই প্রকৃত মুমিন। যে নামাজ আদায় করে না সে মুমিন হতে পারে না।
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ। এ ঘোষণা স্বয়ং মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার। তিনি বলেন,
اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ
‘আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামাজ কায়েম করুন। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর।’ (সূরা: আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)
নামাজ মানুষের অন্যতম ইবাদত হওয়ার কারণ হলো, এ নামাজের মাধ্যমেই মানুষ যাবতীয় পাপ থেকে মুক্ত থেকে পবিত্র জীবন-যাপন করে। উদাহরণ স্বরূপ উল্লেখ করা যেতে পারে-
ফোয়ারা বা নদীতে যেমন আপনা-আপনি পানির স্রোত বয়ে যায় ঠিক তেমনি ঈমানদার ব্যক্তির কাছেও স্রোতের মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পর্যায়ক্রমে উপস্থিত হতে থাকে।
কোনো ব্যক্তি যদি নদী কিংবা পানির ফোয়ারা থেকে গোসল করে তবে তার শরীর থেকে যেভাবে ময়লা বিদূরিত হয় ঠিক তেমনি কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথারীতি আদায় করে তবে তাদের জীবন থেকেও গোনাহনামক ময়লা বিদূরিত হয়ে যায়।
এ কারণেই রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করেন-
‘জেনে রেখো! নামাজই তোমাদের সর্বোত্তম ইবাদত।’
নামাজ সর্বশ্রেষ্ঠ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো-
মহান আল্লাহর তায়ালার হুকুম পালন বা ইবাদতে সবচেয়ে বেশি আনুগত্য প্রকাশ পায় এ নামাজের মাধ্যমে। নামাজে আল্লাহ এবং বান্দার বাইরে আর কারো কোনো অংশ থাকে না। বান্দা নামাজ পড়ার মাধ্যমে একনিষ্ঠভাবে শুধু আল্লাহ তায়ালারই শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে। এবং এ নামাজেই সেজদারত অবস্থায় বান্দা মহান আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়।
বান্দা যেন মহান আল্লাহ তায়ালার একান্ত সান্নিধ্য লাভ করতে পারে, সে জন্যই আল্লাহ তায়ালা মানুষের ওপর প্রতিদিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। আর বান্দাও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহকে একান্ত আপন করে নেন। তাই নামাজকে মুমিনের মেরাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
নামাজ ফরজ ইবাদত। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। অন্যসব ইবাদতের আগে প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য যথাযথ সময়ে তা আদায় করা ফরজ। কোনো অজুহাতেই নামাজ তরক করা যাবে না। কারণ-
‘মুসলিম এবং কাফের ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ তরক করা।’ অর্থাৎ কাফের নামাজ ছেড়ে দেয় আর মুসলিম নামাজ প্রতিষ্ঠা করে।
মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে শত প্রতিকূলতার মাঝেও যথাযথভাবে সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করার মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখার তাওফিক দান করুন। পরিপূর্ণ মুমিন হওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।